|
|
|
|
একশো দিনের কাজে গতি আনতে প্রচার আরামবাগে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
একশো দিনের কাজ নিয়ে এ বার উঠেপড়ে লাগল আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন। ছ’টি ব্লকের প্রতিটি আবেদনকারী পরিবারকে যাতে কাজ দেওয়া যায়, সে জন্য সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচার। আগামী সাত দিন চলবে এই কর্মসূচি।
মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান বা একশো দিনের কাজের প্রকল্পটি হুগলি জেলায় পাঁচ বছর হতে চলল লাগু হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতাই গড়ে ওঠেনি ভাল ভাবে। প্রশাসনিক মহলেও তা নিয়ে অভিযোগ ছিল। প্রকল্পের প্রাথমিক শর্তটিই এখনও বেশির ভাগ মানুষের অজানা। সরকারি নিয়ম হল, কেউ কাজ চাইলে পনেরো দিনের মধ্যে তাঁকে কাজ দিতে হবে। কাজ না দিতে পারলে দিতে হবে বেকার ভাতা। অনেকে ভেবেছেন, এই প্রকল্পে কাজ করলেই দৈনিক ১৩০ টাকা মজুরি পাবেন। কিন্তু কাজের পরিমাণের উপরে এই প্রকল্পে মজুরি নির্ভর করে। তা নিয়ে মানুষের অজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে মজুরি নিয়ে ঝামেলা বেধেছে। বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সুপারভাইজার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান এমনকী প্রশাসনের আধিকারিকদেরও। প্রশাসনের কর্তারাই মনে করছেন, প্রচারের অভাবে এই জেলায় গতি পায়নি একশো দিনের কাজের প্রকল্প। আরামবাগ মহকুমার ব্লকগুলিতে বিগত বছরগুলিতে গড়ে কাজ দেওয়া গিয়েছে মাত্র ১৬-২৮ দিন। গত ১০ অগস্ট জেলাশাসকের সঙ্গে মহকুমাশাক এবং বিডিওদের বৈঠক হয়। তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, প্রকল্পটি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে। সেই কাজই চার মাস পরে সোমবার থেকে শুরু হল আরামবাগ মহকুমায়। মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী জানান, মহকুমার ছ’টি ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদ ধরে প্রচারের কাজ চলবে। প্রচার-দলের কাছে কাজ চাওয়ার আবেদনপত্রও থাকবে। |
|
|
|
|
|