|
|
|
|
এসেছিল উড়ো ফোন |
ইম্ফলে বোমা বিস্ফোরণে জখম ৩ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
উড়ো ফোনে বোমা রাখার খবর মেলা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। বোমার খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময়ই পূর্ত ভবনের ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটালো মণিপুরি জঙ্গিরা। ঘটনায় এক মহিলা-সহ তিন সরকারি কর্মচারী জখম হয়েছেন। আজ বেলা দেড়টা নাগাদ ইম্ফলের খোয়াথংয়ে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, পূর্ত ভবনের তিন তলার বারান্দায়, টাইমার যন্ত্র-সহ বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
যে জায়গায় আজ বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটির ঠিক নীচে দোতলায় পূর্তমন্ত্রী কে রঞ্জিত সিংহের দফতর। এ ছাড়া, সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের দফতরও রয়েছে এই বাড়িতে। এমন উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের ভিতরে ঢুকে কী ভাবে জঙ্গিরা বিস্ফোরক রাখল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে বা গ তকাল রাতে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। এমন কী, আজ সকালে পুলিশের কাছে উড়ো ফোনও আসে। বলা হয়, পূর্ত ভবনে বোমা রয়েছে। পুলিশ বাহিনী বেলা একটা নাগাদ পূর্ত ভবনে বোমার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তবে, বোমার সন্ধান মেলার আগেই সেটি ফেটে যায়। তিন তলায় এক কোণে আবর্জনার স্তূপে বোমাটি লুকোনো ছিল। সেই সময় বারান্দায় বেশি লোক না থাকায় জখমের সংখ্যা বাড়েনি। সন্ধ্যা অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।
সন্ত্রাসের আতঙ্ক সঙ্গে নিয়ে চলা মণিপুরের সরকারি ভবনগুলিতে পুলিশ ও আধাসেনার কড়া প্রহরা থাকে। পূর্ত ভবনের প্রবেশপথে এক সেকশন সিআরপিএফ, ৮ হোমগার্ড ও তিনজন রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের কর্মী থাকেন। এ ছাড়া, পুলিশ, এসবি, সিআরপির জওয়ানরা বাড়ির অন্যন্য অংশের নিরাপত্তা দেখাশোনা করেন। বহিরাগতদের ব্যাগ পরীক্ষা করে ভিতরে ঢোকানো হয়। ভিতরে মোবাইল নিয়ে ঢোকা মানা। এমনকী ভবনে কর্মরত সরকারি কর্মীদেরও ব্যাগ ও দেহ তল্লাশির পরেই ভিতরে ঢোকানো হয়। পূর্ত ভবনের কর্মীদের মতে, পুলিশ বা সরকারি কর্মীদের একাংশ জড়িত না থাকলে চোখ এড়িয়ে তিনতলায় বোমা রাখা কার্যত অসম্ভব। এ দিন, ঘটনার পরে, সব কর্মীদের বের করে ফের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করা হয়। অন্তত ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|