টুকরো খবর
আরও গ্রাম ঢোকানোর দাবি প্রস্তাবিত ডিমাসা রাজ্যে
পৃথক ডিমাসা রাজ্যের দাবিতে জনসমাবেশ। ছবি: স্বপ্নিল বরা।
কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত করার আলোচনায় বসার আগেই, আরও ৯৫টি ডিমাসা অধ্যুষিত গ্রামের অধিকার চাইল ডিমাসা জঙ্গি গোষ্ঠী ডিমা হালমা দাওগ। আজ ডিমারাজির দাবিতে ডিএইচডি (এন) হোজাই থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে হাসাব্রায় বিরাট জনসভা করে। প্রায় ৫ হাজার ডিমাসা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সেখানে সমবেত হন। অনুষ্ঠানে, বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন, আলোচনাপন্থী আলফা নেতা মৃণাল হাজরিকা। ১৭ ডিসেম্বর ডিএইচডির সঙ্গে কেন্দ্রের পরবর্তী শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানে, স্বশাসিত পরিষদ গড়ার ব্যাপারে কেন্দ্র, রাজ্য ও ডিএইচডির চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে। কিন্তু, তার আগেই যৌথ সংগ্রাম মঞ্চ গড়ে সরকারের উপরে চাপা বাড়াচ্ছে ডিএইচডি। প্রথমে, কাছাড়ের ১০৪টি গ্রাম, নগাঁওয়ের ১৪৭ টি গ্রাম ও কার্বি আংলং-এর ১৪৪টি গ্রামকে ডিমারাজির অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলেছিলেন ডিএইচডি নেতা দিলীপ নুনিসা। আজ তাঁরা জানান, কাছাড়ের আরও ৪৫টি ও নগাঁও-কার্বি মিলিয়ে ৫০টি গ্রাম তাঁদের অধীনে আনতে হবে। ডিমাপুরের কয়েকটি ডিমাসা গ্রামও ডিমারাজি প্রশাসনের মধ্যে আনতে চাইছে ডিএইচডি। নতুন দাবি নিয়ে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে স্মারকলিপি পাঠান তাঁরা। নুনিসা বলেন, “সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্যই ডিমাসাদের একত্র করে, একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থায় অধীনে আনা উচিত। আমরা সমাধানের রাস্তা দেখিয়েছি, এ বার বল কেন্দ্রের কোর্টে।”

হেরোইন-সহ ধরা পড়লেন উপজাতি নেতা
কেন্দ্রীয় আবগারি ও শুল্ক দফতরের হাতে ধরা পড়লেন অসম টি-ট্রাইবস স্টুডেন্ট্স অ্যাসোসিয়েশন (আটসা)-র সভাপতি প্রহ্লাদ গোয়ালা। গত কাল সন্ধ্যায় তিনসুকিয়া জেলার মাকুম এলাকায় তাঁর গাড়ি থেকে হেরোইন উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় ডুমডুমা জাতীয় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার সঙ্গে প্রহ্লাদবাবু ডুমডুমা যাচ্ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রহ্লাদবাবু নিজের গাড়িতেই ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাবার পরে, জানালার ফ্রেম থেকে ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গোয়ালা অবশ্য দাবি করেন, হেরোইনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি গাড়ি সারাতে দিয়েছিলেন। সোমবারই গাড়িটি ওয়ার্কশপ থেকে ফেরত আনেন। আটসার তরফে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হয়েছে। প্রহ্লাদবাবুর গাড়িতে মাদক রাখার অভিযোগে, ওয়ার্কশপের মালিকের বিরুদ্ধে গত রাতেই অভিযোগ দায়ের করে আটসা। সভাপতিকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে আটসা আজ তিনসুকিয়া বন্ধের ডাক দেয়।

প্রচুর অস্ত্র-সহ কার্বি জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ
অস্ত্র-সহ সেনাবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ ইউপিডিএস জঙ্গিদের। বুধবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র জমা দিল কার্বি জঙ্গি সংগঠন, ইউপিডিএস। আজ কার্বি আংলঙের জেলাসদর দিফুতে, ইউপিডিএস-এর ৫৬৮ জন সদস্য অস্ত্র জমা রেখে আত্মসমর্পণ করল। কার্বি আংলং স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ইউপিডিএস নেতা ও সদস্যরা অসমের ডিজিপি শঙ্কর বরুয়ার হাতে যে অস্ত্রভাণ্ডার তুলে দিলেন, তার মধ্যে রয়েছে একে সিরিজের ৮৫টি রাইফেল, ৫টি এম ১৬ রাইফেল, ৪০টি গ্রেনেড লঞ্চার, ৩টি এসএলআর, ৪টি জি-৩ রাইফেল, একটি জি-৪ মর্টার, ৫টি স্টার্লিং কারবাইন, ৮টি ৩০৩ রাইফেল, ২টি মার্কিন কারবাইন, একটি রকেট লঞ্চার, একটি ইউনিভার্সাল মেশিনগান, নানা আগ্নেয়াস্ত্রের ৩২২টি ম্যাগাজিন ও ১৮৭৪০ রাউন্ড কার্তুজ। নভেম্বরে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পরে অধিক ক্ষমতাশালী কার্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদ গঠনের শর্তে ইউপিডিএস আত্মসমর্পণে রাজি হয়। আজ জঙ্গি সংগঠনের প্রধান, লংসাদর সেনেরের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাদের মূল স্রোতে স্বাগত জানান শঙ্কর বরুয়া।

জঙ্গি দমনে কেন্দ্র কপ্টার দিচ্ছে বিহারকে
মাওবাদীদের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার একটি হেলিকপ্টার দিচ্ছে বিহারকে। এই রাজ্যের ৩৮টি জেলার মধ্যে ৩৩টিই মাওবাদী প্রভাবিত। তার মধ্যে ১৫টি জেলা অতি স্পর্শকাতর। বিহারের ডিজিপি অভয়ানন্দ আজ বলেন, “কেন্দ্র এই রাজ্যকে ১৬ আসন বিশিষ্ট একটি হেলিকপ্টার দেবে। চলতি মাসের শেষের দিকে এই হেলিকপ্টারটি রাজ্যে চলে আসবে। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারও একটি হেলিকপ্টার কেনার চেষ্টা করছে।” ডিজিপি জানান, কেন্দ্রের দেওয়া এই হেলিকপ্টারটি এলে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় অভিযান চালাতে পুলিশের সুবিধা হবে। আহত পুলিশ কর্মীদেরও দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে আনা যাবে।” মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্য হিসেবে বিহারের স্থান দেশের মধ্যে অন্যতম। কিষেণজির মৃত্যুর পরে এই রাজ্যে বেশ কয়েকটি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। ১৫ দিনের মধ্যে অন্তত ১০টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগানো হয়েছে। গয়া জেলার দু’টি থানা আক্রমণ করা হয়েছে। সব শেষে একটি দোতলা স্কুলবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। রাজ্য পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, এই রাজ্যে গত তিন বছরে ৪৭টি স্কুলবাড়ি ধ্বংস করেছে মাওবাদীরা।

মমতাকে দলে টানতে চান অণ্ণা
একার আন্দোলনে সুবিধা হচ্ছে না দেখে দু’দিন আগে বিরোধী দলগুলির সাহায্য চেয়েছিলেন অণ্ণা হজারে। আজ লোকপাল বিল নিয়ে লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে চাইলেন তিনি। অণ্ণার কথায়, “খুচরো-বিতর্কে বোন মমতার আপত্তির জন্যই দেশের ছোট ব্যবসায়ীদের উপকার হয়েছে। লোকপাল বিল নিয়ে তিনি তেমনই কোনও দাওয়াই দিন, যাতে দুর্নীতি দমনের কাজ সহজ হয়।” অণ্ণারা অতএব চাইছেন, লোকপাল নিয়ে তাঁদের দাবিদাওয়াগুলি এগিয়ে নিয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। তবে তৃণমূল সূত্রে অণ্ণার ডাকে সাড়া দেওয়ার কোনও আগ্রহ দেখানো হয়নি। তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, লোকপাল বিল নিয়ে তাঁরা সরকারের পাশেই থাকছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অণ্ণারাই চ্যাম্পিয়ন, এটা যেন প্রমাণিত না হয়। বরং অণ্ণা হজারে ও তাঁর সহযোগীরা যে ভাবে সংসদকে খাটো করতে চাইছেন, তা ক্ষতিকারক বলে মনে করেন তৃণমূল নেত্রী।

ক্ষতিপূরণ আদায় নিয়ে কেন্দ্র
বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকেই আদায় করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশিকা জমা দিল কেন্দ্র। সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল রোহিংটন নরিম্যান শীর্ষ আদালতের বেঞ্চকে জানান, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতাও কেন্দ্রের থাকা উচিত। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যে অবরোধ হটাতে বা ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ পেতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে কেন্দ্র। ১২ ঘণ্টার মধ্যে অবরোধ সরাতে স্বরাষ্ট্রসচিব ব্যর্থ হলে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে সাহায্য চাইবেন।

ত্রিপুরায় লোকায়ুক্ত
প্রাক্তন বিচারপতি প্রদীপকুমার সরকার ত্রিপুরার লোকায়ুক্ত নিযুক্ত হলেন। এ মাসেই তিনি শপথ নেবেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাতিল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। সংসদে লোকপাল বিল পাশ হওয়ার আগেই এ রাজ্যে লোকায়ুক্ত আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভায় লোকায়ুক্ত বিল গৃহীত হয়। লোকায়ুক্ত আইনের আওতায় রাজ্যের নির্বাচিত সব প্রতিনিধিকেই আনা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত প্রতিনিধি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সবাই এই আইনের আওতায় থাকবেন।

নাট্য দলের বাসে বিস্ফোরণ
নাটক চলাকালীন নাটকের দলের ভাড়া করা বাসের নীচে বিস্ফোরণ ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে কোকরাঝারের গোঁসাইগাঁওতে। পুলিশ জানায়, গত কাল রাতে তুলসিবিল এলাকায় উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের মাঠে, বরদইশিলা নামে একটি নাটক চলছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। দেখা যায়, নাটকের দলটি যে বাস ভাড়া নিয়ে এসেছিল, সেই বাসের নীচেই বোমা ফেটেছে। কে বা কারা নাট্যদলের বাসের নীচে বোমা রেখেছিল জানা যায়নি। ঘটনার পরে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থমকে যায় নাটক। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হননি।

চেরাপুঞ্জিতে মৃত বাঙালি পর্যটক
মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বেড়াতে গিয়ে মারা গিয়েছেন কলকাতার এক পর্যটক। নাম উজ্জ্বল ঘোষ (৫৪)। চেরাপুঞ্জির মাওসমাই গুহার মধ্যে একটি উঁচু জায়গা থেকে মাথা ঘুরে পড়ে যান উজ্জ্বলবাবু। তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

১৮ লক্ষ টাকা লুঠ পটনায়
প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানী পটনার বুকে ১৮ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে বাইকে চেপে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। আজ দুপুরে শহরের ডাকবাংলো মোড়ের কাছে এই ঘটনায় স্বভাবতই সমালোচনার মুখে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুরে দীপক কুমার নামে এক ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে ১৮ লক্ষ টাকা তুলে হেঁটে যাচ্ছিলেন ডাকবাংলো মোড়ের দিকে। এমন সময় মোটরবাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী তাঁর হাতের ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। কেউ ধরা পড়েনি।

অভিযুক্ত দুই ভাই
জমি নিয়ে বিবাদে দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার ভোরে ধুবুরির তামারহাট থানার অন্তর্গত দক্ষিণ আলোকঝাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম জীবেশ রায় (৩৭)। বাড়ি ওই গ্রামে। তিনি আলোকঝাড়ি এল পি স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে দুই ভাইয়ের বিবাদ চলছিল। গ্রামে বিচার সভা বসিয়েও মীমাংসা হয়নি। বুধবার ভোরে দুই ভাইয়ের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সে সময় দা দিয়ে তারা জীবেশবাবুর মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই ভাই পলাতক। পুলিশ তাঁদের খুঁজছে। পুলিশ জীবেশবাবুর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.