|
|
|
|
ক্ষুব্ধ মোদী, সরানো হল সনিয়াদের ব্যঙ্গ করা হোর্ডিং |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মনমোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীকে ব্যঙ্গ করে লেখা হোর্ডিং সরিয়ে ফের দিল্লির ‘নজর কাড়লেন’ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামী রবিবার গুজরাতের সুরাতে এক দিনের ‘সদ্ভাবনা’ অনশনে বসছেন মোদী। তারই প্রস্তুতি হিসেবে শহরের নানা জায়গায় লাগানো হয়েছিল খুচরো-বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে ব্যঙ্গ করা ওই সমস্ত হোর্ডিং। তার কোনওটিতে দেখানো হয়েছে, বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসার একটি বিদেশি সংস্থাকে ভারতে লগ্নি করতে দেওয়ার জন্য সনিয়াকে বলছেন রাহুল। কোনওটিতে আবার মনমোহনকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ভারতীয় হয়েও তিনি চুপ করে আছেন কেন। এই খবর প্রচারিত হওয়ার পরেই মোদী আজ এইসব হোর্ডিং অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্যুইটারেও ওই হোর্ডিংগুলি সম্পর্কে অসন্তোষ জানিয়ে মোদী লেখেন, “সুরাতের বিজেপি কর্মীদের লাগানো কিছু অন্যায্য হোর্ডিংয়ের কথা কাগজে পড়লাম। গণতন্ত্রে আমাদের উচিত এই ধরনের কাজকর্ম থেকে দূরে থাকা এবং পরস্পরকে শ্রদ্ধা করা।”
প্রশ্ন হল, মোদীর এই বিরল সৌজন্যের কারণ কী? এক সময় কংগ্রেস সভানেত্রী তাঁকে বলেছিলেন ‘মওত কা সওদাগর’। মোদী পাল্টা বলেছিলেন, “দয়া করে ভোপাল-কাণ্ডের মওত কা সওদাগরের নাম জানান।” এ হেন রাজনৈতিক চাপানউতোরই যেখানে নিয়ম, সেখানে হঠাৎই এই সৌজন্যের বার্তা কেন? বিজেপির এক শীর্ষ নেতার মতে, “আগামী বছর গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন মোদী নিজের রাজ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছেন। কিন্তু তাঁর নজর দিল্লির দিকেই। ‘সদ্ভাবনা’ অনশনে বসলেও তিনি জাতীয় স্তরে নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাকুল। এ বার সনিয়া-মনমোহনকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে লেখা হোর্ডিং সরিয়েও মোদী ‘উদারতা’ দেখালেন, যাতে দিল্লির নজরে বিষয়টি আসে।” |
|
|
|
|
|