কলকাতার এক মদ ব্যবসায়ীর হত্যাকাণ্ডের কিনারা হল প্রায় দেড় বছর পরে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুকান্ত দাস, সুনীল করাতি ও বুদ্ধদেব গড়াই। বুধবার তাদের কল্যাণী আদালতে তোলা হয়। বিচারক তিন জনকেই ১০ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
নিহত ব্যবসায়ীর নাম সোমনাথ বসু (৫৭)। তিনি শ্যামপুকুর থানার বিশ্বকোষ লেনের বাসিন্দা ছিলেন। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে তাঁর মদের দোকান। সুকান্ত ওই দোকানের ম্যানেজার ছিল। ব্যবসায়ীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে সে-ই অন্য দু’জনকে ‘সুপারি’ দিয়ে কাজে লাগিয়েছিল বলে জানান সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন্স) কে জয়রামন।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ২০১০-এর ১০ মার্চ সন্ধ্যার মুখে এক মহিলাকে দিয়ে ফোন করিয়ে সোমনাথবাবুকে ব্যারাকপুরে আসতে বলে সুকান্ত। সেখানে আগে থেকেই গাড়ি নিয়ে হাজির ছিল দুষ্কৃতীরা। তার পরে গাড়িতেই সকলে মিলে মদ খায়। ডিআইজি বলেন, “মদ খেয়ে সোমনাথবাবু বেহুঁশ হয়ে যান। মদের সঙ্গে অন্য কিছু মেশানো হয়েছিল কি না, তা জানা যায়নি। কারণ ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।” পরের দিন সকালে কাঁচরাপাড়া ও জাগুলির মধ্যে রাস্তার ধারে একটি ঝোপে সোমনাথবাবুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। কিন্তু জেলা পুলিশ ওই খুনের ঘটনার কোনও কিনারা করতে না-পারায় সিআইডি-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়। ডিআইজি জানান, ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমনাথবাবুকে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছিল। তিনি কী ভাবে ব্যারাকপুরে পৌঁছেছিলেন, সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জেরায় ধৃতেরা যা জানিয়েছে, তার সত্যতা যাচাই করতে ওই মহিলারও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। |