জাতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এয়ারপোর্ট অথরিটি)-এর দাবি, কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন ও আধুনিক টার্মিনাল আগামী মার্চে তৈরি হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীও এ ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু প্রকল্পে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে, সময়ে কাজ শেষ হবে তো?
কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ প্রকল্পে সম্পূর্ণ নতুন যে টার্মিনালটি তৈরি হচ্ছে, তাতে বিমানবন্দরের ভোলই বদলে যাবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। অথরিটির চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবালের কথায়, “এটাই হবে ভারতের সবচেয়ে সুন্দর টার্মিনাল।” মঙ্গলবার প্রকল্প-এলাকা ঘুরে দেখার পরে বুধবার চেয়ারম্যান বলেন, আশা করছি, মার্চেই বিমানসংস্থাগুলো নতুন টার্মিনালে অফিস সরিয়ে আনবে। আর মে-জুন নাগাদ তা যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।” তাঁর বক্তব্য: নতুন টার্মিনাল থেকে সিডনি-মেলবোনের্র্ বিমান চালাতে জেট আগ্রহী। হংকংয়ের ক্যাথে প্যাসিফিক, দুবাইয়ের ফ্লাই দুবাই-ও উদ্যোগী। পণ্য বিমান নিয়ে আসছে মার্কিন পরিবহণ সংস্থা ফেডেক্স। এ ছাড়া উড়ান চালুর বিষয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, জাপান এয়ারলাইন্স, অস্ট্রিয়া এয়ারলাইন্স এবং এয়ার মরিশাসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা।
এ দিকে এ দিন এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, নতুন টার্মিনাল মার্চেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের এই ‘আশা’য় সংশয়ের ছায়া ফেলেছে প্রকল্পের প্রায় ৬০ জন ইঞ্জিনিয়ারের বিক্ষোভ। বাড়তি কাজের জন্য বাড়তি টাকা না-পাওয়া ও অন্যান্য অভিযোগ তুলে যাঁরা হুমকি দিয়েছেন, সোমবার থেকে অতিরিক্ত কাজ করবেন না। অফিসার সংগঠনের সভাপতি পার্থসারথি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ দিন চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁরা দেখা করলেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁরা বাড়তি সময় কাজ না-করলে প্রকল্প ডিসেম্বরের আগে শেষ হবে না বলে পার্থবাবুর দাবি।
কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?
বেদপ্রকাশ বলেন, “ডোমেস্টিক আর ইন্টারন্যাশনাল বিভাগ মিশে গিয়েছে ১৯৯৫-এ। এত বছরের বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। নতুন দু’শো পদ তৈরি হচ্ছে। তাতে বৈষম্য অনেকটাই কমবে।” |