| দু’দিন নয়। জঙ্গলমহল উৎসব চলবে তিন দিন ধরে। আগামী ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে হবে তিন দিনের ওই উৎসব। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহলে পর্যটন ও লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য প্রসারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছানুযায়ী এই উৎসবের আয়োজন করছে রাজ্য যুবকল্যাণ দফতর। আগে ঘোষণা হয়েছিল, ১১ ও ১২ জানুয়ারি এই দু’দিন উৎসব হবে। উৎসবের উদ্বোধন করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী আসবেন উৎসবের শেষ দিনে ১২ জানুয়ারি। উৎসব শেষে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িতে রাত্রিযাপনও করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বুধবার যুবকল্যাণ দফতরের প্রধান-সচিব আরিজ আফতাবের পৌরোহিত্যে ঝাড়গ্রাম মহকুমাশাসকের সভাঘরে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানেই জানানো হয়, উৎসব হবে তিন দিন ধরে। এ দিন বৈঠকে যুবকল্যাণ দফতর ও পর্যটন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলার পুলিশ আধিকারিক, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাওবাদী প্রভাবিত ব্লকের বিডিও-রা। বৈঠক শেষে উৎসবের প্রস্তাবিত স্থান ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম-এলাকা পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, উৎসবের জন্য প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। উৎসব উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিভিন্ন সরকারি দফতরের স্টল থাকবে। থাকবে স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর হস্তশিল্প বিপণনের স্টল-ও। তিন জেলার মাওবাদী প্রভাবিত ব্লকের যুবকদের নিয়ে ভলিবল ও ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে। এ ছাড়া উৎসবের তিন দিনেই জঙ্গলমহলের আদিবাসী সংস্কৃতি ও লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান হবে। |
