সহজে আসন সংরক্ষণের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিট কাটতে অনুরোধ করছে রেল। এ ক্ষেত্রে মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ এবং ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি। নিজের মোবাইলে ইন্টারনেট খুলে আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন) সাইটে ‘মোবাইল টিকেটিং’-এ গিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর। দাম চুকিয়ে দিলেই কিছু ক্ষণের মধ্যে টিকিটের পিএনআর-সহ সব তথ্যই এসএমএস করে জানিয়ে দেবে রেল। ওয়েটিং লিস্ট হলে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে। মোবাইল টিকিট নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণের সময় কোনও কাগজ রাখতে হবে না। শুধু সংশ্লিষ্ট মোবাইল এবং একটি পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা জরুরি। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার চন্দ্রভূষণ কুমার সিংহ বলেন, “এখন সারা দেশে প্রতিদিন প্রায় ১১ লক্ষ যাত্রী ট্রেনের টিকিট কাটেন। কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট কাটেন মাত্র হাজারখানেক যাত্রী। অথচ ইন্টানেটে টিকিট কাটা যখন চালু হয়েছিল, তখন থেকেই এই প্রযুক্তি বহাল আছে সারা দেশে।”
|
শরিক-সমর্থকদের আপত্তিতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির রাস্তা খুলে দিয়েও স্থগিত রাখতে হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের আশা, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে সেই জট কেটে যাবে। আজ এক সাক্ষাৎকারে মনমোহন বলেন, “আমাদের শরিকদের বোঝাতে হবে। আমার ধারণা, আমরা সফল হব। তবে দু’মাসের মধ্যে নয়। বিধানসভা নির্বাচনগুলো শেষ হয়ে যাবে মার্চে। তার পর অবস্থা বদলানো উচিত।” অর্থাৎ নির্বাচনী রাজনীতির দিকে তাকিয়েই যে খুচরোয় বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হল, প্রধানমন্ত্রীর কথায় তা স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা কমলেই ভারত আবার ৯% বৃদ্ধিহার ছুঁতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। মনমোহনের কথায়, “আমরা সংস্কারের পথেই চলব। ভারতীয় অর্থনীতিকে নির্ভরযোগ্য এবং ঋণপ্রদানযোগ্য করেই তুলব।”
|
‘কিষাণ ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পে ঋণ দেওয়া শুরু করল এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। বুধবার ব্যাঙ্কের শিলিগুড়ি জোনাল অফিস থেকে ৭৭ জন কৃষককে ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ ৩৮ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড জেনারেল ম্যানেজার বেঙ্গল মানস মোহন নিয়োগী ও শিলিগুড়ি জোনালের প্রধান আশিস দে। সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে মানসবাবু জানান, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য রেখেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতির দিকে লক্ষ্য রেখে ওই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।” আশিস জানান, দ্রুত শিলিগুড়ি জোনালের উদ্যোগে মালদার রতুয়ায় ব্যাঙ্কের একটি নতুন শাখা চালু করা হবে। গ্যাংটকে একটি নতুন শাখা খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
|
দাম কমার আনন্দকে ক্ষণস্থায়ী প্রমাণ করে শুক্রবারই ফের দাম বাড়তে পারে পেট্রোলের। নিয়ন্ত্রণমুক্তির পর থেকে টানা ১০ বার বৃদ্ধির পর গত ১৬ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর পেট্রোলের দাম লিটারে যথাক্রমে ২.২২ টাকা ও ৭৮ পয়সা কমিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মূলত ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম হু হু করে পড়তে থাকায় এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা। বুধবারই ডলারের সাপেক্ষে আরও ৪৮ পয়সা পড়ে টাকার দাম দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৫৩.৭১/৭২ টাকায়। পাশাপাশি, সিঙ্গাপুরের বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১০৮.২৫ থেকে বেড়ে ১১১.১১ ডলার হয়েছে। তার উপর ৩ বছরে এই প্রথম দৈনিক উৎপাদন ৩ কোটি ব্যারেলে বাঁধার কথা জানিয়েছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক। সংস্থাগুলির দাবি, এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল বিক্রি করে লিটারে ৫৫/৫৬ পয়সা লোকসান হচ্ছে। তাই দাম বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে এই হারেই।
|
বকেয়া পরিষেবা কর অন্তত আংশিক ভাবে মেটানোয় কিংফিশার এয়ারলাইন্স এবং এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফের চালু করল কেন্দ্র। এপ্রিল থেকে নভেম্বরে কিংফিশারের পরিষেবা কর বাকি ছিল প্রায় ১১০ কোটি টাকা আর এআইয়ের ৩১০ কোটি। নভেম্বরের জন্য প্রথম সংস্থাটি এর মধ্যে ৯ কোটি এবং এআই ৮ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। তার পরই কিংফিশারের ১০টি ও এআইয়ের ১১টি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রকের এক কর্তার দাবি। প্রসঙ্গত সোমবারই অ্যাকাউন্টগুলি ফের চালুর আবেদন নিয়ে শুল্ক বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন কিংফিশার কর্ণধার বিজয় মাল্য। চেয়ারম্যান জানান, কিছু টাকা মেটানো হলে তা চালু করা হবে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বাকি টাকা মেটানোর আশ্বাসও লিখিত ভাবে জমা দিয়েছে কিংফিশার।
|
বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি পরিষেবা সংস্থা বিএসএনএলের কর্মীরা। সম্প্রতি টেলিকম বিভাগের কাছে স্বেচ্ছাবসরের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে বিএসএনএল। এর প্রতিবাদ-সহ বিভিন্ন কারণেই ওই ধর্মঘট ডেকেছেন কর্মীরা। তবে সংস্থার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির প্রতিনিধি অনিমেষ মিত্রের দাবি, ধর্মঘট চলাকালীন আপৎকালীন পরিষেবা বজায় রাখবেন তাঁরা। সংস্থার ৯০% কর্মীই ধর্মঘটে যোগ দেবেন বলেও তাঁর দাবি। ধর্মঘটে যাতে পরিষেবা ব্যাহত না হয়, তা দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করেন ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম এস মাইতি। কাজে ইচ্ছুক কর্মীদের বাধা না দেওয়ার জন্য ধর্মঘটীদের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। |