নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
তারাপীঠে আসা দর্শনার্থীরা শুধু পুজো দিয়ে বা তারা মা’র দর্শন করে ফিরে না যান সে জন্য রামপুরহাট লাগোয়া কয়েকটি জায়গা পার্কের মতো করে সাজানোর পরিকল্পনা নিল রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতি। বিডিও শান্তিরাম গড়াই বলেন, “এ ব্যাপারে বেশ কিছু প্রকল্প তৈরি করার কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কাজ বাকি আছে। প্রকল্পগুলির রুপরেখা তৈরি করা হয়ে গেলে অনুমোদনের জন্য জেলাস্তরে পাঠানো হবে। আশা করি খুব শীঘ্রই অনুমোদন মিলবে।”
ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, তারাপীঠকে ঘিরে পর্যটকদের আকর্ষন আছে। তারাপীঠ লাগোয়া বেশ কিছু জায়গা আছে সেগুলিকে দর্শনার্থীদের জন্য সাজিয়ে তোলা হবে। যে জায়গাগুলিকে বাছা হয়েছে তা হলনারায়ণপুর পঞ্চায়ায়েতের বৈধড়া জলাধার। ওখানে ব্রাহ্মণী নদীর উপরে বৈধড়া জলাধার আছে। ওই জলাধারকে ঘিরে বেড়ানোর ব্যবস্থা, পিকনিক করার জায়গা, ফুলের বাগান ও রঙিন মাছর চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সময় রামপুরহাট থানার সুন্দিপুর মোড় থেকে বৈধড়া নারায়ণপুর যাওয়ার রাস্তা সংস্কারের জন্য বিডিও-র তরফ থেকে বলা হয়েছে। এই জলাধার ছাড়া, কুশুম্বা পঞ্চায়েতের তুম্বনি এলাকায় বনদফতরের ডাকবাংলো রয়েছে। তুম্বনিতে পর্যটকেরা যাতে ঘুরতে পারেন এবং বনহাট পঞ্চায়েতের রদিপুর গ্রামের পাশে বিশাল জলাধারকে সাজানো হবে। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মলুটি পর্যন্ত যাতে বেড়ানোর ব্যবস্থা করা যায় সে পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। বিডিও বলেন, “প্রতিটি এলাকায় প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে কুড়ি লক্ষ টাকা। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এবং ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়িত করা হবে।” |