|
|
|
|
‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ কলেজে প্রার্থী দেবে না এসএফআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
শিল্পাঞ্চলের কোনও কলেজেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএফআই। নেতৃত্বের দাবি, সংগঠনের সদস্য-সমর্থকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই যুক্তি উড়িয়ে টিএমসিপি এবং ছাত্র পরিষদের (সিপি) পাল্টা দাবি, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সমর্থন হারিয়েছে এসএফআই। এখন নির্বাচনে দাঁড় করানোর মতো প্রতিনিধি না পেয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আসানসোল শিল্পাঞ্চলের আটটি কলেজে ২১ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। তার জন্য ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দিতে হবে। কিন্তু এ বার তারা কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বলে এসএফআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে। সংগঠনের বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি সিদ্ধার্থ বসু বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বার কলেজ নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।” কারণ হিসেবে সিদ্ধার্থবাবুর দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই রাজ্যে রাজনীতির চেহারা পাল্টেছে। কলেজগুলিতে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ নেই। তিনি বলেন, “আমাদের সংগঠনের সদস্য-সমর্থকদের বেছে বেছে মারধর করছে টিএমসিপি এবং সিপি-র সমর্থকেরা। সিদ্ধার্থবাবুর দাবি, এই অবস্থায় সংগঠনের সদস্য-সমর্থকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই কলেজে লড়াই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
এসএফআই সদস্য-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন টিএমসিপি-র বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অশোক রুদ্র। তিনি পাল্টা বলেন, “ওরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন হারিয়েছে। নির্বাচনে দাঁড় করানোর মতো প্রতিনিধি খুঁজে পাচ্ছে না।” তাঁর যুক্তি, নিজেদের সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকার জন্য এসএফআই হাস্যকর যুক্তি দেখাচ্ছে।
এসএফআই কলেজগুলিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও সিপি এবং টিএমসিপি-র সরাসরি লড়াই হবে বলে জানাচ্ছেন দুই সংগঠনের নেতৃত্বই। সিপি-র বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি সঞ্জয় সুকুল বলেন, “আমাদের এখনও জোট হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে জানি না। মুখোমুখি লড়াই হবে ধরে নিয়েছি। আমরা সকলে মনোনয়ন পত্র তুলছি এবং জমা দিচ্ছি।” টিএমসিপি-র বর্ধমান জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অশোক রুদ্র জানান, সিপি-র সঙ্গে এখনও জোট করার কোনও বাতাবরণ তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, “শেষ পর্যন্ত জোট না হলে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করব।”
এ দিকে, বুধবার আসানসোলের বিসি কলেজে মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে সিপি এবং টিএমসিপি-র মধ্যে গোলমাল বাধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। কলেজে বহিরাগত এনে অপর পক্ষ তাদের সঙ্গে ঝামেলা পাকিয়েছে বলে দাবি করেছে দু’পক্ষই।
পুনর্বাসনের দাবি। সাঁকতোড়িয়া ভিলেজার্স কমিটির উদ্যোগে বুধবার ইসিএলের সাঁকতোড়িয়া সদর কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো গ্রামবাসী। সংগঠনের সহ-সম্পাদক বাচ্চু মুখোপাধ্যায় জানান, ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র প্রদান ও পুনর্বাসনের দাবিতে এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। |
|
|
|
|
|