শিল্প তালুকের কোন কোন এলাকা আসানসোল দমকলের আওতায়?
দমকল ওসি সেলিম জাভেদ জানান, আসানসোল পুরসভা অঞ্চল ছাড়াও হিরাপুর থানা এলাকা, কুলটি পুর এলাকা, বারাবনি ও সালানপুর ব্লক, চিত্তরঞ্জন এবং জামুড়িয়ার একটি অংশ তাঁদের দায়িত্বে। ভোটার তালিকা অনুযায়ী এই এলাকাগুলির জনসংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ। রয়েছে আসানসোল বাজার। এছাড়াও কুলটি, বরাকর, বার্নপুর, বারাবনি, সালানপুর, রূপনারায়ণপুর ও চিত্তরঞ্জনের একটি বড় বাজার-সহ একাধিক বাজার রয়েছে। সব মিলিয়ে আসানসোলকে কেন্দ্র করে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার ব্যাস এলাকা জুড়ে আগুন নেভানোর দায়িত্বে তাঁরা।
কিন্তু যেটুকু পরিকাঠামো তাঁদের আছে তা দিয়ে এই বিস্তীর্ণ এলাকা সামাল দেওয়া একেবারেই অসম্ভব। তবু কার্যত জীবন হাতে নিয়েই কাজ তাঁদের।
শুধু আসানসোলেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার বহুতল। আশপাশের এলাকায় আরও কয়েকশো বহুতল। এক ডজনের বেশি শপিং মলও বহুতল।
আর এই অবস্থায় এত দিন কোনও হাইড্রলিক সিঁড়িই কেনা হয়নি? মেয়র তাপসবাবুর কথায়, “দমকলের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। একটি হাইড্রলিক সিঁড়ির দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। তাড়াহুড়ো করে তো কিছু করা যাবে না। নিয়ম নীতি মেনেই আমরা এগোচ্ছি।”
ততদিন পর্যন্ত কি অপেক্ষায় থাকবে আগুন-ও, প্রশ্ন নাগরিকদের।
|