|
|
|
|
নার্সিংহোম ও হাসপাতালে তল্লাশির জন্য পর্যবেক্ষক দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দুর্ঘটনা এড়াতে বিধি মানার উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। আমরির ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতেই এই পদক্ষেপ। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে কালেক্টরেটের সভাঘরে বৈঠক ডেকেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। যেখানে স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দমকল, পূর্তপ্রতিটি দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি পর্যবেক্ষক দল গঠন করা হয়েছে। যে দল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে গিয়ে তল্লাশি চালাবে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “সরকারি ক্ষেত্রে কোথাও কোনও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোনও নার্সিংহোম বা প্যাথোলজি সেন্টার চললে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।” |
 |
মেদিনীপুর কালেক্টরেটে বৈঠকে জেলাশাসক। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সরকারি হাসপাতালগুলিতে যাবে এই প্রতিনিধি দল। যাঁরা প্রতিটি বিষয়ের উপরেই নজর রাখবেন। বিদ্যুৎ দফতর দেখবে, বিদ্যুতের তার থেকে কোনও অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে কি না, পূর্ত দফতর দেখবে বিল্ডিংয়ের মধ্যে কোনও ত্রুটি রয়েছে কি না, দমকল দেখবে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। প্রতি দিনই জেলাশাসককে রিপোর্ট দিতে হবে। সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনের পরেই বেসরকারি নার্সিংহোম ও প্যাথোলজি কেন্দ্রে যাবে এই প্রতিনিধি দল।
এ দিনের বৈঠকেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জেলাশাসককে জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় লাইসেন্স ছাড়াই নার্সিংহোম ও প্যাথোলজি কেন্দ্র চলে। আবার যাদের লাইসেন্স রয়েছে তারাও সমস্ত নিয়ম মানে না। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এই নিয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে কি না জানতে চান জেলাশাসক। সে রকম কিছু হয়নি শুনে জেলাশাসক নির্দেশ দেন, “এ বার থেকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। ত্রুটি ধরা পড়লেই ব্যবস্থা নিতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে তা বন্ধ করে মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নার্সিংহোম ও প্যাথোলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে আগে কোনও দিন তল্লাশি অভিযান হয়নি। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের এক শ্রেণির কর্মী ও আধিকারিকের সঙ্গে অশুভ আঁতাতের কারণেই অনিয়মের রমরমা। তাই এ বার শুধু স্বাস্থ্য দফতর নয়, তল্লাশিতে দমকল, পূর্ত ও বিদ্যুৎ দফতরের পাশাপাশি মহকুমাশাসকের একজন প্রতিনিধিকেও রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |
|
|
 |
|
|