গুদামের অভাবে ব্লকগুলিতে খাদ্যশস্য মজুত করা যায় না। শস্য এবং সংগৃহীত ধান-চাল মজুত রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে একটি করে খাদ্যশস্যের গুদাম তৈরি করতে চায় সরকার। এই সব গুদাম তৈরিতে নাবার্ড ঋণ দিতে রাজি হয়েছে বলে মঙ্গলবার মহাকরণে জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ দিন মহাকরণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র নাবার্ডের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী, অর্থ ও খাদ্য দফতরের সচিবেরাও ছিলেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিটি গুদাম তৈরি করতে দু’কোটিও বেশি টাকা লাগবে। আপাতত ৫০টি গুদাম তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতিটি গুদামে তিন হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য রাখার ব্যবস্থা হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “পরে রাজ্যের ৩৪২টি ব্লকেই একটি করে গুদাম তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
|
বামফ্রন্টে আরও দল চায় সিপিআই |
তৃণমূলের মোকাবিলায় বামফ্রন্টের পরিধি বাড়ানোর দাবি তুলল সিপিআই। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, “বাম-বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তাদের মোকাবিলায় সিপিআইএমএল (লিবারেশন), এসইউসি-সহ ছোট বামপন্থী দলগুলিকে বামফ্রন্টে সামিল করার ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।” বুধবার থেকে অশোকনগরে সিপিআইয়ের ৩ দিনের জেলা সম্মেলনেও এই দাবি তোলা হবে। সদ্যসমাপ্ত কলকাতা জেলা সম্মেলনেও একই দাবি তোলা হয়েছিল। ফরওয়ার্ড ব্লকও একই দাবি তুলেছিল। সিপিএম অবশ্য কিছু বলেনি। স্বপনবাবু জানান, তাঁরা ছোট বাম দলগুলির সঙ্গে কথা বলছেন। শিলিগুড়িতে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্মেলনেও এই প্রস্তাব গৃহীত হবে বলে খবর। বিধানসভা ভোটে হারের পরে বুথ-স্তর পর্যন্ত বামফ্রন্টের স্থায়ী কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বামফ্রন্ট। স্বপনবাবুর অভিযোগ, “ছ’মাস কাটলেও পুরসভা বা ব্লক স্তর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি তৈরি হয়নি। কারণ, সিপিএমের সদিচ্ছা নেই।”
|
এ বার হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা বাড়াতে পারে রাজ্য |
হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সম্প্রতি এ কথা জানালেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ায় যে সব চাষি হিমঘরে আলু মজুত রেখেছিলেন, তাঁরা তা লাভজনক ভাবে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাঁদের আরও সময় দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য। হিমঘরে এখনও ১০ লক্ষ টন আলু মজুত আছে। এ বার আলুর ফলন ভাল হওয়ায় বাজারে দাম কমেছে। অবস্থা এমনই যে, হিমঘর থেকে সেগুলি আদৌ না তুললে বরং চাষিদের লোকসান কম হবে। কিন্তু এর ফলে হিমঘর মালিকদের সমস্যা বাড়ছে বলে জানান সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি স্বপন কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, “হিমঘর থেকে আলু নভেম্বর শেষেই তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তোলা হয়নি। এতে আলুর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাড়ায় হিমঘর মালিকরা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন।” এ দিকে, হিমঘরের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি রাজ্য খতিয়ে দেখছে, জানান অরূপবাবু। তিনি বলেন, “ভাড়ার হার সংশোধনের জন্য বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। শীঘ্রই কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। তার পরই সিদ্ধান্ত হবে।”
|
কারা দফতরে কর্মরত অবস্থায় মৃত ৪১ জন কর্মীর নিকটাত্মীয়েরা ১৪ বছর পরে চাকরি পেলেন। মঙ্গলবার কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “ওঁরা দীর্ঘদিন ধরে ঘুরছিলেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের সমস্যার কথা জানতে পেরে দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন। তাই এই কৃতিত্ব আমার নয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রাপ্য।” |