বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের। রবিবার পুরুলিয়ার চার’টি এবং বাঁকুড়ার দু’টি স্কুলে নির্বাচন হয়েছে।
ওই দিন রানিবাঁধ ব্লকের দেউলি-শুক্লা হাইস্কুলে ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে তৃণমূল এবং একটি আসনে সিপিএম জয়ী হয়েছে। এই স্কুলে সিপিএম, ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টি, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং তৃণমূলের মোট ২৩ জন প্রার্থী ছিলেন। গতবার এই স্কুলের পরিচালন সমিতি ঝাড়খণ্ড পার্টির দখলে ছিল। আর তিলাবনী পল্লিভারতী হাইস্কুলের ৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৪টি এবং সিপিএম ২টি আসন পেয়েছে। এই স্কুলে সিপিএম, তৃণমূল এবং নির্দল মিলিয়ে ১৬ জন প্রার্থী ছিলেন। এই স্কুলের পরিচালন সমিতির ক্ষমতা অবশ্য তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শ্যামল সরকার বলেন, “আমাদের জোট সরকারের উন্নয়নের কর্মসূচিতে এলাকার মানুষের যে আস্থা বাড়ছে তা একের পর এক স্কুল ভোটে প্রমাণিত।” যদিও এই ফলাফলকে প্রত্যাশিত বলে মানছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলাসম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অজিত পতির দাবি, “দু’টি স্কুলে ক্ষমতায় রয়েছে বিরোধীরাই। তার পরে যে আসন পেয়েছি বড় প্রাপ্তি।”
অন্য দিকে, বান্দোয়ানের ঘাঘরা কমলা সুধীর হাইস্কুলে ও বোরো থানার বসন্তপুর আদিবাসী হাইস্কুলের ৬টি আসনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ঘাঘরা কমলা সুধীর হাইস্কুলে মোট ভোটার ২৯৮। ভোট পড়েছে ২৫৬। বান্দোয়ানের ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি জগদীশ মাহাতো বলেন, “ওই স্কুলে ইতিপূর্বে সিপিএম বিরোধী জোট প্রার্থীদের হাতে পরিচালন সমিতি দখলে ছিল। এ বারও সিপিএম বিরোধী প্রার্থীরা ৬টি আসন পেয়েছেন।” বোরোর স্কুলে ২১০ ভোটারের মধ্যে ১৮৩টি ভোট পড়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণপ্রসাদ সিংহদেও বলেন, “বান্দোয়ানের কুমড়া পঞ্চায়েত এলাকায় আমাদের সংগঠন খানিকটা দুর্বল। আর বসন্তপুর হাইস্কুলে তৃণমূলের হাওয়ায় ভোটে জয়লাভ করেছে।”
ওই দিনই বাঘমুণ্ডি ব্লকের বাঘমুণ্ডি হাইস্কুলে ও ধনুডি হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে জিতেছেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। ওই দু’টি স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। এখানে কংগ্রেস ও তৃণমূল আলাদা প্রার্থী দিয়েছিল। বাঘমুণ্ডি হাইস্কুলে ৬টি আসনেই জিতেছে কংগ্রেস। আর ধনুডি স্কুলে ৫টিতে জিতেছে কংগ্রেস। একটি আসন পায় বামফ্রন্ট। |