টুকরো খবর
ল্যান্ডলাইন বিকল, দিনভর হয়রানি
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিকল রইল কলকাতা বিমানবন্দরের বিএসএনএল ল্যান্ডলাইন। ফলে যাত্রীরা বিমান সংক্রান্ত খবরের জন্য যোগাযোগ করে বিফল হন। টেলিফোন লাইন বিকল হওয়ায় কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে আশপাশের বিমানবন্দরেও যোগাযোগ করা যায়নি। এক এটিসি অফিসারের কথায়, “ইয়াঙ্গন, বাংলাদেশেও ওই ফোন থেকে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয় আমাদের। এ দিন সেই যোগাযোগ যতটা সম্ভব মোবাইল থেকে রাখতে হয়েছে।” বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এক অফিসারের দাবি, বিএসএনএল-এর লাইন বিকল হলেও বেসরকারি সংস্থার ল্যান্ডলাইন চালু ছিল। কিন্তু, সাধারণত বাইরে থেকে যাঁরা বিমানবন্দরে যোগাযোগ করেন, তাঁরা বিএসএনএল লাইনেই ফোন করেন। বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি দমদমের কাছে কোনও উড়ালপুলের কাজ চলাকালীন সমস্যা হয়।” বিধাননগরে বিএসএনএল-এর ডিজিএম সিদ্ধার্থ সাহু বলেন, “সকালে দমদমে কাজ করার সময়ে শ্রমিকেরা ফাইবার লাইন কেটে ফেলেন। ফলে বিমানবন্দরের গোটা এক্সচেঞ্জ বসে যায়। এর আগে বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের কাজ চলাকালীন টেলিফোনের লাইন কাটা গিয়েছে। তবে, তখন কপার তার কেটে যাওয়ায় কয়েকটা লাইন বিকল হয়। কিন্তু, মঙ্গলবারে গোটা এক্সচেঞ্জই বিকল হয়ে যায়।”

নিউ টাউন হোক শ্যামাপ্রসাদের নামে, মমতাকে চিঠি বিজেপি-র
নিউটাউনের নাম ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নগর’ রাখার আর্জি জানিয়ে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নামে নিউটাউনের নামকরণ করেছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার ‘জ্যোতি বসু নগর’ নাম রাখার পক্ষপাতী নয়। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রাহুল চিঠিতে লিখেছেন, ‘যে লোকটি ভারত বিভাজনের অন্যতম শরিক, যার হাতে মরিচঝাঁপিতে শত শত উদ্বাস্তু হয় নিহত, নয় সারা জীবনের মতো পঙ্গু হয়ে গিয়েছে, যার হাতে শিল্প, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ সমস্ত ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ একদম পশ্চাদবর্তী রাজ্যে পরিণত হয়েছে, তার নামে কোনও শহর নামাঙ্কিত করার অর্থ সেখানকার নাগরিকদের অপমান করা। আপনি নিউটাউনের বাসিন্দাদের সেই অপমানের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন বলে ধন্যবাদ।’ চিঠির পরবর্তী অংশে রাহুল নিউটাউনের নাম ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নগর’ রাখার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, শ্যামাপ্রসাদের উদ্যোগেই পশ্চিমবঙ্গের ভারতভুক্তি ঘটেছিল।

জলে ডুবে মৃত্যু
গঙ্গার একটি জেটিতে পে-লোডার নিয়ে কাজ করার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িসুদ্ধ জলে পড়ে গেলেন চালক। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জেটিতে (কেপিডি ডক-১)। পুলিশ জানায়, সনওয়ার হুসেন (৩৮) নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

মহিলার অপমৃত্যু
এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নীলাঞ্জনা মিত্র (৬২) নামে ওই মহিলার দেহ মেলে রিজেন্ট এস্টেট-এ একটি ভাড়া বাড়ি থেকে। নীলাঞ্জনাদেবীর ছেলে পুলিশকে জানান, তাঁর মা দীর্ঘ দিন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত। এ দিন সকালে বাথরুমে পড়ে যান নীলাঞ্জনাদেবী। ডেকে সাড়া না মেলায় খবর যায় পুলিশে। এম আর বাঙুরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

গাড়ির ধাক্কায় জখম
গাড়ির ধাক্কায় জখম হলেন এক সাইকেল আরোহী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকায় ডায়মন্ড হারবার রোডে। আহতের নাম উত্তম বিজলি। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুরের বাগেরহাটে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে জোকা আইআইএম-এর কাছে সাইকেলে করে যাওয়ার সময়ে একটি গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন উত্তমবাবু। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ি-সহ চালক পলাতক।

নৌকাডুবি, নিখোঁজ
বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হলেন সোনারপুরের এক যুবক। সোমবার বিকেলে, গোসাবার কাছে গাঁড়াল নদীতে। নিখোঁজের নাম অনিত তাঁতি। পুলিশ জানায়, ওই দিন সকালে তিন বন্ধুকে নিয়ে গোসাবার লাহিড়ীপুরে বন্ধু গুরুদাস মল্লিকের বাড়িতে যান অনিত। বিকেলে তাঁরা চার জন ও স্থানীয় তিন যুবক একটি নৌকায় নদীতে ঘুরছিলেন। হঠাৎ নৌকা উল্টে গেলে বাকিরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও অনিত পারেননি। ক্যানিং উপকূল থানার পুলিশ, উপকূলরক্ষী বাহিনী তল্লাশি চালায়। এসডিপিও (ক্যানিং) পিনাকীরঞ্জন দাস বলেন, “অনিতের সন্ধানে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে দু’জন ডুবুরিও আনা হয়েছে।” তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অনিতের দেহ মেলেনি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.