খেলার টুকরো খবর
চ্যাম্পিয়ন সিউড়ি
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আয়োজিত ২৯তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সার্বিক সাফল্যের নিরিখে চ্যাম্পিয়ন হল সিউড়ি সদর মহকুমা। রানার্স হয়েছে রামপুরহাট মহকুমা। ৯ ডিসেম্বর সিউড়ির পুরন্দরপুর স্কুল মাঠে প্রতিযোগিতা হয়েছে। জেলার তিনটি মহকুমার ৩২টি চক্রের চার শতাধিক প্রতিযোগী ৩৮টি ইভেন্টে যোগ দিয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, জেলা প্রাথমিক স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষ, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) ফটিকচন্দ্র মুড়া, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামসুন্দর দত্ত, এস আর ডি-এর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল প্রমুখ। জেলা স্তরের এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারীরা ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে।
মানপুরে ভলিবল
লাভপুরের মানপুর ‘আরমা ক’জন’ সঙ্ঘ পরিচালিত ১ দিনের ভলিবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল ফলগ্রাম মহবত ক্লাব। রবিবার স্থানীয় মাঠে ওই প্রতিযোগিতা হয়। যোগ দিয়েছিল ২০টি দল। ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফলগ্রাম মহবত ক্লাব ও লাভপুরের ইন্দাস তরুণ সমিতি। নির্ধারিত দুই গেমে ফলগ্রাম ২৫\১৯ ও ২৫\২২ পয়েন্টে হারায় ইন্দাসকে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন ছোট্টু মাল। ইন্দাসের অভিজিৎ রানা নির্বাচিত হয়েছেন ম্যান অফ দ্য সিরিজ। খেলা পরিচালনা করেন দুই ক্রীড়া শিক্ষক উজ্জ্বল চক্রবর্তী এবং কিশোর ভট্টাচার্য। এ ছাড়া, উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট রেফারি বরেন মিশ্র। অন্যতম উদ্যোক্তা সুজিত মণ্ডল জানান, খেলা দেখতে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তাঁদের উৎসাহের কথা মাথায় রেখে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

তিরন্দাজিতে সাফল্য
লক্ষ্মণ ও রাজকুমার।
জাতীয় তিরন্দাজি প্রতিযোগিতায় বীরভূমের মুখ উজ্জ্বল করল দুই স্কুল ছাত্র। ৪ থেকে ৮ ডিসেম্বর শিলং-এর জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ভারতীয় তিরন্দাজি সংস্থা আয়োজিত জাতীয় তিরন্দাজি প্রতিযোগিতার ‘জুনিয়র ইন্ডিয়ান’ রাউন্ডে দলগত ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এ রাজ্যের ৪ জন। তাদের মধ্যে দু’জন লাভপুরের কুরুম্বা মুকুন্দলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির রাজকুমার দাস ও মহম্মদবাজারের হেরুকা হাজি সুলেমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র লক্ষ্মণ হেমব্রম। রাজকুমারের বাড়ি লাভপুরের কুঁচলি গ্রামে। আর লক্ষ্মণের বাড়ি সাঁইথিয়ার বাগডোলায়। দু’জনের বাবা-মা দিন মজুর। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা। মূলত স্কুলের শিক্ষকদের উৎসাহে খেলার জগতে পা রাখা দু’জনের। বর্তমানে দু’জনে বোলপুরের ‘সাঁই স্যাজ’ সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। স্বভাবতই স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি ওই সেন্টারের প্রশিক্ষক সানাহাল মাঙ্গা প্রতি কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই তাদের। তারা কথায়, “সানাহাল স্যারের জন্যই আমরা এই সাফল্য পেয়েছি। তিরন্দাজিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।” সানাহাল মাঙ্গা বলেন, “একনিষ্ঠ অনুশীলই ওদের এত দূরে পৌঁছে দিয়েছে। একদিন ওরা সাফল্যের চূড়ায় উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।” ছাত্রদের এ হেন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কুরুম্বা স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক তথা জেলা তীরন্দাজি সংস্থার সম্পাদক তাপস হাজরা, হেরুকা স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক তীর্থ মণ্ডলরা। তাঁরা বলেন, “দু’জনের পরিবার খুবই দুঃস্থ। তা সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিকুলতাকে জয় করে ওরা রাজ্যের পাশাপাশি আমাদের স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ওরা যাতে আরও ভাল ফল করে সেই কামনা করি।”

মাঠের টানে

বিশ্বজিৎ সরকার।
খেলা ছেড়েছেন দীর্ঘদিন আগে। কিন্তু ৫৮ বছর বয়সেও খেলার মাঠ ছাড়তে পারেননি ‘ববিদা’। আজও তাঁকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ফুটবল মাঠে ছুটতে দেখা যায়। তবে ফুটবলের পিছনে নয়, ছোটেন ফুটবলারদের পিছনে। তিনি আসলে খেলা পরিচালনা অর্থাৎ রেফারি করেন। ববিদার পোশাকি নাম বিশ্বজিৎ সরকার। খেলার মাঠে তিনি ববিদা হিসেবে পরিচিত। আসল বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের আগরা। বাবার চাকরি সূত্রে ৫৪ বছর ধরে রামপুরহাটে বাসিন্দা। বর্তমানে থাকেন রামপুরহাটের হাসপাতাল আবাসনে। স্ত্রী মায়াবতীদেবী ওই হাসপাতালের নার্স। ১৯৭২ সাল থেকে রামপুরহাটের বিশ্বনাথ গুঁইয়ের হাত ধরে খেলা পরিচালনা শুরু। ১৯৮৩ সালে কলকাতা রেফারি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। বর্তমানে বীরভূম জেলা রেফারি অ্যাসোসিসেশনের আহ্বায়ক। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগিতায় বাঁশি বাজিয়েছেন বাপিদা। ১৯৮৩ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত সিউড়ি উইলস ট্রফি, সাঁইথিয়া নন্দেকেশ্বরী শিল্ড, রামপুরহাট জে এল বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্ড-সহ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। আজও ডাক পেলে তিনি দৌড়ে যান। ববিদার কথায়, “খেলার নতুন নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে। অনেক সময় উদ্যোক্তা এবং দর্শকেরা তা জানতে পারেন না। সেই নিয়ম চালু করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।” ছোটবেলায় পাড়ার ফুটবল খেলেছেন। অন্যদের মতো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খেলা ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু খেলা পরিচালনা ছাড়তে পারেননি। তিনি বলেন, “একদিন যাঁদের সঙ্গে খেলা পরিচালনা করেছি আজ তাঁদের ছেলের সঙ্গেও একই কাজ করে চলেছি।” তবে তাঁর আক্ষেপ, “সরকারি পৃষ্টপোষকতার অভাবে ফুটবলের মতোই খেলা পরিচালনাও অবক্ষয়ের মুখে। সরকারি সাহায্য শহরাঞ্চলে যদি বা মেলে গ্রামাঞ্চলে তার ছিঁটে ফোঁটাও মেলে না।”

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
পুরন্দরপুরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
জেলা যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং বোলপুর ব্লক যুব কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় ৮ এবং ৯ ডিসেম্বর বোলপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হল যুব ক্রীড়া অউর খেল অভিযান বা পাইকার জেলা স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ভলিবল, তিরন্দাজি, খোখো, অ্যাথলেটিক, সাইকেল রেস-সহ বিভিন্ন ইভেন্টে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিল। উপস্থিচ ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়, বোলপুর মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি, জেলা যুব কল্যাণ আধিকারিক সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারীরা রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবেন বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।

জেলা দল গঠন
জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে সিনিয়র ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল দল গঠনের লক্ষ্যে কাল, বৃহস্পতিবার বোলপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশেষ নির্বাচন প্রক্রিয়া। জেলার তিনটি মহকুমা স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগদানকারী ক্লাবের ফুটবলাররা ওই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগ দেবেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানান, ১৮ জনকে বাছাই করা হবে। তাঁদের নিয়ে গঠিত দল ২৩ ডিসেম্বর মালদহ স্টেডিয়ামে আয়োজিত আন্তঃজেলা সিনিয়র ফুটবল প্রতিযোগিতায় জেলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।

সংক্ষেপে
• স্থানীয় ষাটপলশা স্কুল মাঠে ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ১৬ দলীয় নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। পরিচালনায় রয়েছে ময়ূরেশ্বরের সেরুনিয়া সবুজ সঙ্ঘ।

• ২৫, ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর যুব ক্রীড়া অউর খেল অভিযান (পাইকা)-র উদ্যোগে সিউড়ির ৫টি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্য স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতা।

• পাইকার উদ্যোগে সাঁইথিয়ার কামদাকিঙ্কর স্টেডিয়ামে ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে জেলা স্তরের ফুটবল এবং কবাডি প্রতিযোগিতা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.