কালক্ষেপ না করে ত্রিপুরা সরকার আগরতলা শহরের নার্সিংহোমগুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল। কলকাতার আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ফলে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তারই প্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য অধিকর্তা সত্যরঞ্জন দেববর্মা এই নির্দেশের কথা জানিয়ে বলেন, শুক্রবারই পশ্চিম ত্রিপুরার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তিনি বিষয়টি দেখতে বলেছেন।
শনি ও রবি ছুটি থাকায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আজ থেকে পুরোদমে মাঠে নেমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দু’জনের একটি দল। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতির্ময় দাস জানান, এই দলে রয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এক জন করে অফিসার। আগরতলা শহরে ১১টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি নার্সিংহোম রয়েছে। তদন্তকারী দল এখনও পর্যন্ত তিনটে নাসির্ংহোম ঘুরে দেখেছে। সব ক’টি সরেজমিনে দেখে রিপোর্ট তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তার ভিত্তিতেই রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেবে। রাজ্যের ‘ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৭৬’ মেনে জেলার নার্সিংহোমগুলি চলছে কি না, তাও সরেজমিনে দেখা হবে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, বেশিরভাগ বেসরকারি নার্সিংহোম ত্রিপুরা পশ্চিম জেলায়। তাই ওই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর জেলাতে একটি নার্সিংহোম রয়েছে। এখনও সেখানে এই নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, তদন্তে যদি দেখা যায় দমকলের নিয়ম ও নির্দেশিকা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, শহরের অধিকাংশ নার্সিংহোমেই কার্যত কোনও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। নার্সিংহোম তৈরির ক্ষেত্রে যে ‘নিয়মবিধি মেনে বাড়ি তৈরি করার কথা’, তা-ও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সরকারি জিবি হাসপাতাল ও আইজিএম হাসপাতালে উপযুক্ত অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থাআছে কি না, তা নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠছে। পশ্চিম জেলার সিএমওএইচ জানান, সরকারি হাসপাতালগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ-সহ সব ব্যবস্থা আছে কি না, সেটাও স্বাস্থ্য দফতরের দেখার কথা। |