টুকরো খবর
ছাত্র পরিষদের নতুন জেলা সভাপতি
জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হলেন মহম্মদ সইফুল। রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন হয়। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে সেখানেই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন সইফুল। তাঁর সঙ্গে ‘লড়াই’ হয়েছে ভবানী মাণ্ডির। শেষমেশ ভবানী জেলার সহ-সভাপতি হন। গত কয়েক মাস জেলায় ছাত্র পরিষদের কমিটি ছিল না। ফলে, সংগঠনও দুর্বল হয়ে পড়েছিল। চেষ্টা করেও জেলার সব কলেজে ছাত্র পরিষদের ইউনিট খোলা যায়নি বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে জেলা কমিটি গঠন হওয়ায় ফের সংগঠন চাঙ্গা করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছে ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে বলেন, “ছাত্র সংগঠনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল। আশা করি, সংগঠন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওঁরা কার্যকরী ভূমিকা নেবে।” আগে ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি ছিলেন কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনের নির্দেশেই কয়েক মাস আগে জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। যুব কংগ্রেসের ধাঁচে ছাত্র পরিষদের পদেও নির্বাচিত প্রতিনিধি রাখার উদ্যোগ শুরু হয়। সেই মতো আগে কলেজ স্তরে ভোট করে কলেজ ইউনিট তৈরি হয়। ইউনিটের পদাধিকারীরাই জেলা সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেন। কংগ্রেস ও তার শাখা সংগঠনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এ ক্ষেত্রেও সেই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রে খবর। ছাত্র পরিষদের যুযুধান দুই গোষ্ঠী নির্বাচনের জন্য প্রায় এক মাস ধরে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে যুব কংগ্রেস ও জেলা কংগ্রেসের একাংশও সক্রিয় হয়েছিলেন। এক পক্ষ সভাপতি হিসাবে সইফুলকে চেয়েছিলেন। অন্য পক্ষ ভবানীকে সভাপতি করতে তৎপর হয়। জেলা সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা ভবানীকেই সভাপতি পদে দেখতে চেয়েছিলেন বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। এমন অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, “ভোটের মাধ্যমেই তো সভাপতি নির্বাচিত হবেন। সেখানে পক্ষপাতিত্বের প্রশ্ন ওঠে কী করে! সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন যে পেয়েছেন সেই সভাপতি হয়েছেন।” তাৎপর্যপূর্ণ হল, সভাপতি হওয়ার পর যাঁদের বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সইফুল, তাঁদের মধ্যে জেলা কংগ্রেস সভাপতির নাম নেই! নতুন সভাপতি বলেন, “যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা চাই। জেলার প্রতিটি কলেজে সংগঠনের ইউনিট গড়ে তোলা হবে।”

শিক্ষা সংসদে স্মারকলিপি
আশ্বাস ছিল, ‘প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। অবৈধ কিছু হয়ে থাকলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’ কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত এগোয়নি একচুলও। হতাশ শিক্ষক পদপ্রার্থীরা সোমবার শিক্ষা সংসদের অফিসে তদন্তের দাবি জানিয়ে ফের স্মারকলিপি দিলেন।গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আদালতে মামলা হয়। অভিযোগ, লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা সফল হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে চাকরি পাননি। অথচ, লিখিত পরীক্ষায় অসফল প্রার্থীদেরও চাকরি হয়ে গিয়েছে। তৎকালীন সংসদ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি ছিল, নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পুরো প্রক্রিয়াই স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর শিক্ষা সংসদের নতুন সভাপতি স্বপন মুর্মু পুরনো অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তদন্ত শুরু না হওয়ায় হতাশ শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। ‘সুবিচারের’ আশায় মাস পাঁচেক আগে তাঁরা গড়ে তোলেন ‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থী সমিতি।’ সংগঠনের পক্ষ থেকে আগেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে বেশ কিছু দাবি পেশ করা হয়েছিল। চার মাস পর সোমবার ফের সেই একই দাবি নিয়ে শিক্ষা সংসদের দ্বারস্থ হল তারা। সংসদ সভাপতি স্বপন মুর্মু দফতরে না-থাকায় এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। তবে, সভাপতির দফতরে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সমিতি। সমিতির সভাপতি তমাল গোস্বামী বলেন, “আমরা চাই যোগ্য প্রার্থীদেরই শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হোক।” সংসদ সভাপতি এ দিন ঝাড়গ্রামের এক স্কুলে ছিলেন। সমিতির এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “এখনও নতুন সংসদের কমিটি গঠন হয়নি। তাই সমস্যা হচ্ছে। কমিটি গঠন হলেই ওই সব অভিযোগ কমিটির বৈঠকে পেশ করব। কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

সন্ত্রাসের আশঙ্কা এসএফআইয়ের
ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছে এসএফআই-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। সোমবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে মিটলেও মঙ্গল ও বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন গোলমালের আশঙ্কা করছে ‘বাম ছাত্র ঐক্য’। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়ে কলেজ-চত্বরে উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করার আবেদন জানিয়েছে তারা। মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।” শুক্রবার দুপুরে কলেজের সামনে এসএফআইয়ের সদস্যদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি’র বিরুদ্ধে। মারধরে জখম হন এসএফআইয়ের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল-সম্পাদক সৌমেন মাহাতো। তাঁকে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সৌমেনের অভিযোগ, “কলেজ-চত্বরে সন্ত্রাস কায়েম করছে তৃণমূলিরা। বাড়ি-বাড়ি গিয়েও আমাদের সমর্থক-পড়ুয়াদের শাসানো হচ্ছে।” উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় ছিল এসএফআই-এআইএসএফ নেতৃত্বাধীন ‘বাম ছাত্র ঐক্য’। জঙ্গলমহলে অশান্তির কারণে গত দু’বছর রাজ কলেজের ছাত্র সংসদে নির্বাচন হয়নি। আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন হওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। তার আগে সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দিন। মঙ্গলবার ও বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন হল বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর। টিএমসিপি’র জেলা চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ গিরি অবশ্য সন্ত্রাসের অভিযোগ খারিজ করে বলেন, “ইতিপূর্বে কলেজ নির্বাচন গুলিতে জঙ্গলমহলের পড়ুয়ারা টিএমসিপি-কেই বেছে নিয়েছেন। পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই ভোট বানচাল করতে চাইছে বামপন্থীরাই।”

সুপ্রিম কোর্টে সুশান্তের জামিনের মামলা উঠল
সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের জামিনের মামলা সোমবার গৃহীত হল সুপ্রিম কোর্টে। তবে, এ দিন সে ব্যাপারে কোনও নির্দেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই সময়ের মধ্যেই রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ দিনই সুশান্তবাবু-সহ দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৬ জনকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সুশান্তবাবু ও আরও তিন বন্দি অনুপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম অমিতাভ দাস অবশ্য সবাইকেই আরও ১৪ দিন জেল-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ফের তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে মোট ৫৮ জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ১৯ জন ধরা পড়েছেন। গত ২৮ অগস্ট আদালতের কাছে একটি পিটিশন দাখিল করে এই মামলায় জেলবন্দি দেবাশিস পাইনের আইনজীবী শাক্য মাইতি জানিয়েছিলেন, সিআইডি তাঁদের চার্জশিটের সমস্ত কাগজপত্র দেয়নি। এ দিন সেই বিষয়ে শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত সিজেএমের এজলাসে। আদালতে শাক্যবাবু দাবি করেন, চার্জশিটে সব মিলিয়ে ২,২২২টি পাতা রয়েছে। অথচ, তাঁদের মাত্র ৩৬০টি পাতা দেওয়া হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি অর্ধেন্দু সাহা অবশ্য আদালতকে জানান, প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্রই দেওয়া হয়েছে শাক্যবাবুদের। ঠিক কী কী কাগজপত্র তাঁরা পাননি, পিটিশনে শাক্যবাবুদের তা উল্লেখ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু ছাত্রের, ক্ষোভ
পরীক্ষা দিয়ে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের। নাম সায়ন গুঁই (১১)। বাড়ি দাসপুর থানার নিমতলায়। সোমবার দুপুরে ঘাটালের কাটাল সংলগ্ন পাকাঘাটের কাছে দুর্ঘটনার পরেই উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা লরিটিতে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ গেলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের দাবি, লরি চালককে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং ওই রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। পুলিশ দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শিলাবতী নদী বাঁধের ওই মোরাম রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। খানাখন্দে ভর্তি। ওই রাস্তা দিয়ে ছোট গাড়ি ছাড়া আর অন্য যে কোনও যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। অথচ নিমতলা, কাটান, রসিকগঞ্জ, গাদিঘাট, মুর্শিদনগর-সহ প্রায় ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন সেখান দিয়ে। রাস্তাটি দেখভালের কথা সেচ দফতরের। বেহাল রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সোমবারের ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিকে, প্রতিদিনই শিলাবতী নদী থেকে বালি তুলে একাধিক লরি-ট্রাক বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। সব জেনেও প্রশাসন নীরব বলে ক্ষোভ এলাকার মানুষের। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “ওই বাঁধের রাস্তাটি হাল খুবই খারাপ। সংস্কারের জন্য সেচ দফতরকে জানানোও হয়েছিল। কেন এখনও হয়নি খোঁজ নিচ্ছি।” মহকুমা সেচ আধিকারিক নমিত সরকার বলেন, “এ বার থেকে ভারী গাড়ি চলাচল করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

হলদিয়ার কারখানায় বিক্ষোভ
হলদিয়ার কারখানার সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
বঞ্চনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে হলদিয়ার রানিচকে একটি চিনি প্রস্তুতকারী সংস্থার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন ঠিকা-শ্রমিকেরা। রেনুকা সুগার মিলে ৬০০ ঠিকা শ্রমিক কাজ করেন। মাসে ২৬ দিন কাজ করলে মেলে ৪৬০০ টাকা। সম্প্রতি কারখানা কর্তৃপক্ষ ২৬ দিনের বদলে ১৩ দিন কাজের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ফলে ঠিকাশ্রমিকদের মাসোহারা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩০০ টাকা। ঠিকাশ্রমিক শেখ সিরাজের কথায়, “স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও আমাদের একই রয়েছে দীর্ঘ দিন। এখন আবার কাজের দিন কমিয়ে মাসোহারা অর্ধেক করা হয়েছে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।” কারখানার এজিএম গোল্ডেন সিংহের বক্তব্য, “আমাদের কারখানার পরিস্থিতি এখন খারাপ। সেটা ঠিকাশ্রমিকরা বুঝছেন না।”

আমরি কাণ্ড স্মরণে
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতদের স্মরণে সোমবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরে মোমবাতি-মিছিল করল শহরের ওয়েস্ট-এন্ড হাইস্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা। পুরপিতা প্রশান্ত রায়ের নেতৃত্বে ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূলেরও একটি মোমবাতি-মিছিল হয়। সকালে বেলপাহাড়িতেও মৌন মিছিল করে স্থানীয় তৃণমূল।

হলদিয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ
একটি অনুষ্ঠানের শোভাযাত্রাকে ঘিরে সংঘর্ষ বাধল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। সোমবার হলদিয়ায় এই ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাজ্য সড়ক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের সুতাহাটা বাজারে একটি অনুষ্ঠান ছিল সোমবার। সেই অনুষ্ঠানেরই একটি শোভাযাত্রা সুতাহাটা থেকে মঞ্জুশ্রী মোড়ের দিকে আসছিল। পথে গিরিশ মোড়ের কাছে অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন সেই শোভাযাত্রায় চড়াও হয় বলে অভিযোগ। খবর ছড়িয়ে পড়লে দফায়-দফায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীরা। চৈতন্যপুর, সুতাহাটা, গিরিশ মোড়ে টানা আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, র্যাফ নমে। সামান্য লাঠিচার্জও করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির আঘাতে প্রনব শি (৩২) নামে কৃষ্ণনগরের এক বাসিন্দা জখম হয়েছেন। তাঁকে সুতাহাটা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্ত্তি করানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীলাদ্রি চক্রবর্তী, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মাইতি-সহ পুলিশ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উঠে যায় অবরোধ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাড়পত্র না থাকায় ওই অনুষ্ঠানেরও সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মাইতি বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

নয়াগ্রামে মিলল মাও-পোস্টার
তৃণমূল বিধায়কের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানার বালিগেড়িয়ায় বন দফতরের চেকপোস্টের কাছে এবং কেশরেখা এলাকায় মিলল মাওবাদী পোস্টার। সিপিআই (মাওবাদী)-র নামে লাল কালিতে হাতে লেখা ওই পোস্টারে নয়াগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক দুলাল মুর্মুর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হচ্ছে বলে দুলালবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে কী ধরনের ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ’ করা হয়েছে সে সম্পর্কে পোস্টারে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। এলাকাবাসীরা এ দিন সকালে সাঁটানো পোস্টারগুলি দেখতে পান। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী গিয়ে পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দেয়। দুলালবাবুর বক্তব্য, “বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই উন্নয়ন-বিরোধীরা ওই পোস্টার দিয়েছে। স্থানীয় সিপিএমের একাংশও যুক্ত থাকতে পারে। ওই পোস্টারকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।”

বেলপাহাড়িতে সিপিএমের নতুন জোনাল সম্পাদক
বাড়িতে মাওবাদী হামলার জেরে গত দু’বছর গ্রামছাড়া ও অসুস্থ অমিয় সেনগুপ্তকে অব্যাহতি দিয়ে তুলনায় তরুণ এক নেতার হাতে বেলপাহাড়ি জোনালের দায়িত্ব দিল সিপিএম। তবে অমিয়বাবু এখনও কমিটিতে রয়েছেন। সোমবার নতুন জোনাল কমিটি গঠিত হওয়ার পরেই বছর সাতষট্টির প্রাক্তন সম্পাদক অমিয়বাবু সদস্যদের জানান, তাঁর শরীর খারাপ। এখন ঝাড়গ্রামে থাকায় বেলপাহাড়ি যাতায়াত করে কাজ চালাতেও সমস্যা হচ্ছে। ওই পদে শিলদা লোকাল সম্পাদক, বছর চল্লিশের ঊদ্ধব মাহাতোর নাম প্রস্তাব করেন তিনি। তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আগের ১২ সদস্যের জোনাল কমিটির দু’জন মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছিলেন। এ দিন সর্বসম্মতিক্রমে যে ১৫ সদস্যের কমিটি গড়া হয়, তাতে বাকি ১০ জনই রয়েছেন।

বন্ধে স্বাভাবিক কাঁথি
মহরম উৎসব কমিটির ডাকা বন্ধে স্বাভাবিক রইল কাঁথি থানা এলাকা। সোমবার সকালে অবশ্য বন্ধ সমর্থকেরা দিঘা-মেচেদা রাজ্য সড়কের কয়েকটি জায়গায় অবরোধ করেন। এর ফলে ওই রাস্তায় ঘণ্টা দুয়েক যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় কিছু ব্যবসায়ী দেরি করে দোকান খুললেও বাজারহাট, বাসস্ট্যান্ড-সহ অন্য এলাকা স্বাভাবিক ছিল। এ দিন বন্ধের বিরোধিতা করে রাস্তায় বাইক মিছিল করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। পাশপাশি বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে হঠিয়ে দেন বন্ধ সমর্থকদের। নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকী দোকানপাট খুলতে সাহায্য করেছেন। তবে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সিপিএম নেতার বাড়িতে ‘হামলা’
স্কুল-ভোটকে কেন্দ্র করে অন্ডালে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ‘রেশ’ রইল পরেও। রবিবার দুপুরে খান্দরা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে ঘিরে ওই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন জখম হন। রাতে ভোটের ফল বেরনোর পরে দেখা যায়, অভিভাবক প্রতিনিধিদের জন্য নির্ধারিত ছ’টি আসনেই সিপিএম-মনোনীত প্রার্থীরা জিতেছেন। সিপিএমের অভিযোগ, তার পরেই তৃণমূলের লোকজন স্থানীয় সিপিএম নেতা অঞ্জন বক্সীর বাড়িতে ‘হামলা’ চালায়। গুলিও ছোড়া হয়। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.