এলাকার বাইরে সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্মেলন
শুধু নন্দীগ্রাম-খেজুরি নয়, সিপিএমের পটাশপুর-১ সিংদা জোনাল কমিটির সম্মেলনও হবে এলাকার বাইরে। ‘তৃণমূলের সন্ত্রাস’-এর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।
ওই এলাকার সিংদা লোকাল কমিটির সম্মেলন এখনও হয়নি। অন্য তিনটি, অমর্ষি, মংলামাড়ো ও নৈপুর লোকাল কমিটির সম্মেলন হয়েছে এলাকার বাইরে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপদিঘির ঘড়াই লোকাল কমিটির অফিসে ১৪ ডিসেম্বর লোকাল কমিটি এবং ১৬ ডিসেম্বর সিংদো জোনাল কমিটির সম্মেলন হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০০ ও ২০০১-এ সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পটাশপুর। সে সময় এবং তারপরে বিভিন্ন ঘটনায় সিপিএম নেতা-কর্মীদের নামে একাধিক মামলা রুজু হয়। ২০০১-এ তৃণমূল সমর্থক ত্রিদিব পট্টনায়েকের মৃত্যুতে মামলা দায়ের হয় সিপিএমের ১৩ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। চলতি বছরের জুন মাসে একটি খুন ও মৃতদেহ লোপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে দলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় আর্থিক জরিমানাও হয়েছে অনেকের। গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বেশ কয়েকজনের নামে। ফলে অনেক নেতা-কর্মী দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া। সিপিএমের সিংদা জোনাল কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “তৃণমূলের লাগাতার সন্ত্রাস, জরিমানা আদায় ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ায় জোনাল কমিটির ৮ সদস্য এলাকাছাড়া। এলাকায় অশান্তি এড়াতে বিভিন্ন জোন এলাকার বাইরে সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
গত ২৮ মে-র পর থেকে সিংদা ‘জোন’ এলাকায় অর্থাৎ পটাশপুর-১ ব্লক এলাকায় শাখা কমিটির অফিস থেকে শুরু করে লোকাল ও জোনাল কমিটির কার্যালয় কার্যত বন্ধ। ত্রিদিব খুনের মামলায় জড়িত জোনাল কমিটির পাঁচ সদস্য-- প্রবীর আদক, পঙ্কজ সাউ, তাপস বাঁকুড়া, সুধাংশু দাস ও অমর বারিক এখনও জামিন পাননি। এঁদের মধ্যে প্রবীর এবং তাপসবাবু পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। অমর বারিক অমর্ষি লোকাল কমিটির সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় এঁরা সম্মেলনে আসবেন না বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি। ঘরছাড়া আরও এক জেলা পরিষদ সদস্য ও জোনাল কমিটির সদস্য অনাদিনন্দন রথ। বিধানসভা ভোটের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন আরও কয়েকজন জোনাল সদস্য। কমিটির অর্ধেকেরও বেশি সদস্যের অনুপস্থিতিতে সিপিএম নেতারা নতুন কমিটি গঠনে কী অবস্থান নেন, তার দিকে তাকিয়ে আছে পটাশপুরের রাজনৈতিক দলগুলি। তবে ২০০৭-এর ১৭ মার্চ খেজুরির জননী-ইটভাটা থেকে সশস্ত্র অবস্থায় সিপিএমের যে ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে ৯ জনই পটাশপুর থানা এলাকার। পরে ২০০৮-এ দলের লোকাল ও জোনাল সম্মেলনে অবশ্য ওই নেতা-কর্মীদের কমিটিতে পুনর্নির্বাচিত করা হয়। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রশান্ত প্রধান বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে তাঁরা আসতে না পারলেও সাংগঠনিক নিয়মে ফোন, চিঠি কিংবা প্রতিনিধি মারফত তাঁদের মতামত জেনে নেওয়া হবে। বিভিন্ন মামলায় অনেকেই এলাকা ছাড়া। দলে যাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে এমন নেতা-কর্মীর পাশে দল থাকবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.