নিউজিল্যান্ডের হাতেও ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচে হার! দীর্ঘ ২৬ বছর পর। বেলেরিভ ওভালে ২২ বছরের মধ্যে টেস্টে প্রথম পরাজয়!
ভারতের বিরুদ্ধে মহাগুরুত্বপূর্ণ চার টেস্ট সিরিজ শুরুর মাত্র দু’সপ্তাহ আগে এত বড় ধাক্কায় রীতিমতো ভীত শোনাচ্ছে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের গলা। নিজের দলের ‘ধারাবাহিকতার অভাব’-এ ক্লার্ক মারাত্মক টেনশনে। ঘুরিয়ে বলে দিয়েছেন, এটাই অস্ট্রেলিয়ার এই মুহূর্তে সেরা একাদশ কি না তা নিয়ে তিনি নিজেই দ্বিধাগ্রস্ত। ভারতের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের আগে এখন তাঁর সবচেয়ে বড় চিন্তা যে অস্ট্রেলিয়ার দল
|
দিশেহারা ক্লার্ক।
ছবি: এএফপি |
নির্বাচন, তা-ও সরাসরি স্বীকার করছেন ক্লার্ক।
১৯৮৫-র পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিউজিল্যান্ড প্রথম কোনও টেস্ট জিতল, নাটকীয় ভাবে ৭ রানে। ডাগ ব্রেসওয়েল নামক বছর একুশের, মাত্র চারটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞ এক মিডিয়াম পেসারের বলের হদিশ না পেয়ে পন্টিং-হাসিরা আজ বাকি ১৬১ রান তুলতে দ্বিতীয় ইনিংসের ১০ উইকেটই হারান। ডেভিড ওয়ার্নার ওপেন করতে নেমে ১২৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। চতুর্থ পেসার হিসাবে বল করতে এসে ব্রেসওয়েলের বোলিং হিসাব ১৬.৪-৪-৪০-৬। আট বলের এক বিধ্বংসী স্পেলে তুলে নেন পন্টিং (১৬), ক্লার্ক (০) ও মাইক হাসি-কে (০)।
সিরিজ ২-০ জেতার জন্য ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে আগের দিন ৭২-০-র স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থেকেও এ দিন ২৩৩-এ শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং দু’ইনিংসেই মুখ থুবড়ে পড়ল মোটামুটি সাধারণ মানের কিউয়ি পেস আক্রমণের সামনেই। যা দেখার পর জাহির-ইশান্ত-উমেশদের উৎসাহ তো বাড়বেই। অশ্বিন-প্রজ্ঞানও আশাবাদী হয়ে উঠবেন নিশ্চয়ই। সচিন-সহবাগদের মুখোমুখি হওয়ার আগে শেষ সিরিজ করুণ ভাবে ১-১ ড্র করে ক্লার্ক বলেছেন, “দলের ধারাবাহিকতার অভাব আমাদের প্রত্যেককে সমস্যায় ফেলছে। আমরা যেমন ব্যক্তিগত অথবা দলগত ভাবে মাঝেমধ্যে দারুণ পারফরম্যান্স করছি, তেমন মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। সেটা হল, মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত ও দলগত ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগে বিশ্রী ভাবে হেরে যাওয়া।” |