|
|
|
|
কাঠের গুদামে আগুন, আতঙ্কে মানুষ রাস্তায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের পরে আগুন লাগল নিমতলা এলাকার জনবহুল স্ট্র্যান্ড রোডে একটি কাঠের গুদামে। সোমবার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের জেরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের ১১টি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। কেউ হতাহত হননি।
পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, কাঠের গুদামটি নিমতলার ঘিঞ্জি এলাকায় গঙ্গার ধারেই। সেই গুদামের উপরে কাঠের তৈরি বেশ কয়েকটি ঘরও আছে। সেখানে আছে বিভিন্ন অফিস, দোকান, কারখানা এবং কর্মীদের থাকার জায়গা। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। আমরির দগ্ধক্ষত এখনও দগদগে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারাই তড়িঘড়ি প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন। তার পরে আসে দমকলের ১১টি ইঞ্জিন।
আগুন লাগল কী ভাবে? |
|
নিমতলায় আগুন নেভানোর চেষ্টায় এক দমকল কর্মী। সোমবার রাতে। নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও দমকলকর্মীদের অনুমান, গুদামের ভিতরে রান্না করতে গিয়েই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই গুদামের ভিতরেই কয়েক জন কর্মী থাকেন। ঘিঞ্জি গলিতে রয়েছে অজস্র গুদাম এবং বাসস্থান। সেখানে মাকড়সার জালের মতো ঝুলছে বিদ্যুতের তার। বিপদ ঘটতে পারে যখন-তখন।
ওই কাঠের গুদামের মালিক পবন অগ্রবাল বলেন, “আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।” কিন্তু ওই গুদামের উপরে কী ভাবে কাঠের ঘর তৈরি করা হল, সেই বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। ওই নির্মাণ বেআইনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। তিনিও ওই নির্মাণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মন্ত্রী বলেন, “ও-সব নিয়ে পরে কথা বলা যাবে। দমকলকর্মীরা খুব ভাল কাজ করেছেন। বড়বাজার এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির চেষ্টা করছি।” |
|
|
|
|
|