বিদ্যুতের লাইন শেষ হয়ে গিয়েছে দেখে চালক বুঝতে পারলেন, ঢুকে পড়েছেন ভুল লাইনে। দাঁড়িয়ে পড়ল ধানবাদগামী কোলফিল্ড এক্সপ্রেস। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ট্রেনটি বর্ধমানের খানা জংশন থেকে আসানসোলের দিকে যাওয়ার পরিবর্তে চলে যায় অন্য লুপ লাইনে। এর ফলে ওই ‘বিভ্রাটের’ জেরে পূর্ব রেলের বর্ধমান-আসানসোল লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পূর্ব রেলের বক্তব্য, ভুল ‘পয়েন্ট সেট’ হওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ খানা জংশন থেকে ছেড়ে ট্রেনটি লুপ লাইনে চলে যায়। প্রায় আধ কিলোমিটার যাওয়ার পরে বিদ্যুতের লাইন শেষ হয়ে যায়। ভুল লাইনে চলে গিয়েছেন বুঝে চালক ট্রেন দাঁড় করিয়ে কাছের স্টেশনে খবর পাঠান। ঘণ্টা দু’য়েক সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। বর্ধমান থেকে ইঞ্জিন পাঠিয়ে রাত ৯টা নাগাদ ট্রেনটিকে ফিরিয়ে আনা হয়। এর জেরে রাত ৮টা থেকে আসানসোলগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনে ‘পয়েন্ট সেট’ করার আগে আগের দস্তুর মতো স্টেশন থেকে ‘লাইন ক্লিয়ার’ বার্তা নিতে হয়। তখনই ট্রেনের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়। রেল-কর্তাদের একাংশের মতে, এ ক্ষেত্রে হয় খানা জংশনের আগের স্টেশন (তালিত) কর্তৃপক্ষ কেবিনম্যানকে ট্রেনের নাম জানাননি, বা উত্তরবঙ্গমুখী কোনও ট্রেন ওই লাইন দিয়ে যাওয়ার পরে কেবিনম্যান ‘পয়েন্ট’ বদলাতে ভুলে গিয়েছিলেন। এই ‘বিভ্রাটের’ জেরে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়, ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হচ্ছে।
|
অজয় ঘোষ ট্রফিতে মোহনবাগান মাঠে কল্যাণী তিন উইকেটে হারিয়েছে বিশ্বভারতীকে। প্রথমে বিশ্বভারতী করে ২৮.৪ ওভারে ১০০ রান। জবাবে কল্যাণী ৩০.২ ওভারে করে ১০২-৭। বিশ্বজিৎ সরকার ৩৬ রান করেন। প্রসেনজিৎ রায় ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা। এ দিন রাধারানি স্টেডিয়ামে যাদবপুর ৭ উইকেটে হারিয়েছে উত্তরবঙ্গকে। উত্তরবঙ্গ করে ২৬ ওভারে ১১১-৮। সৈকত ঘোষ অপরাজিত ৪৭ রান করেন। যাদবপুরের সুকান্ত রায় ১৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা। যাদবপুর ২০ ওভারে করে ১১২-৩। |