বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাটোয়া কলেজে ছাত্র সংসদের ৩৬টি আসনে জয়ী হল ছাত্র পরিষদ। কান্দরা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজে ১২টি আসনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ছাড়া অন্য কোনও সংগঠন মনোনয়ন তোলেনি। এসএফআইয়ের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, এই দুই কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তারা যোগ দেবে না। তবে ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, কেতুগ্রামের কান্দরা কলেজে অধ্যক্ষের পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য তারা মনোনয়ন তুলতে পারেনি। এ বিষয়ে তারা কাটোয়ার মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে।
কাটোয়া কলেজে ৪২টি আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল সোমবার। সময় শেষ হওয়ার পরে দেখা যায়, ছাত্র পরিষদ সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যার্থী পরিষদ, ডিএসও এবং টিএমসিপি মাত্র ছ’টি আসনে ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পেরেছে। যার ফলে ৩৬টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায় ছাত্র পরিষদ। এ নিয়ে ২৯ বারের জন্য তারা এই কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করল। এ দিন কলেজে জয়ের পরে বিকেলেই ছাত্র পরিষদের তরফে কাটোয়ায় মিছিল করা হয়।
সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “কাটোয়া ও কেতুগ্রামে নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই তাঁদের ছাত্র সংগঠনের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।” তৃণমূলের বর্ধমান জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মণ্ডল আজিজুলেরও অভিযোগ, “ছাত্র পরিষদ চায় না কাটোয়ায় নির্বাচন হোক।” কাটোয়া মহকুমা ছাত্র পরিষদের নেতা শেখ সোলেমান এই সব অভিযোগ ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই জেলায় একমাত্র কাটোয়া কলেজেই গণতন্ত্র রয়েছে। তাই প্রতি বার আমরা সংসদে ক্ষমতায় এসেছি। প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিরোধীরা।”
শেখ সোলেমানের অভিযোগ, “কান্দরা রাধাকান্ত কুণ্ডু কলেজে একটি ছাত্র সংগঠনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়ালেও তিনি অন্য সংগঠনের ছাত্রদের মনোনয়ন তুলতে দেননি।” এ ব্যাপারে তাঁরা মহকুমাশাসক ও কেতুগ্রাম ১ বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন। অধ্যক্ষ মৃগাঙ্ক রায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নিয়ম বহির্ভূত কোনও কাজ করা হয়নি। তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-র দাবি, “টিএমসিপি ছাড়া অন্য কোনও সংগঠনকে কলেজের আশপাশে দেখাই যায়নি।” |