ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন তোলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জখম হলেন হাটগোবিন্দপুর কলেজের চার ছাত্র। সোমবার বিকেলের এই ঘটনায় জখমদের মধ্যে দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ দিনই ছিল ওই কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন তোলার শেষ দিন। মঙ্গলবার তা জমা দেওয়ার দিন। বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক গফ্ফর মল্লিক বলেন, “আমাদের কলেজে মূলত মেমারি ২ ও বর্ধমান ২ ব্লকের ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসেন। তাই ওই দুই ব্লকের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রার্থিতালিকা তৈরি করা হয়। মোট ২৮টি আসনের মধ্যে প্রতি ব্লকের প্রার্থীরা ১৪টি করে মনোনয়ন তুলবেন। এক বছর পরে ছাত্র সংসদের পদাধিকারী বদল হবে।” তিনি জানান, গত বার বর্ধমান ২-এর প্রার্থীরা সংসদের সব ক’টি পদে ছিলেন। এ বার মেমারি ২ ব্লকের প্রার্থীদের পদে আসার পালা। |
গফ্ফরের অভিযোগ, “এ দিন মনোনয়ন তুলে বাড়ি ফেরার সময়ে কিছু লোক আমাদের বাস থেকে নামায়। তাদের মারে চার জন জখম হন। আমাদের জোর করে স্থানীয় তৃণমূল অফিসে নিয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়ে দফায় দফায় মারধর করা হয়। শেষে তৃণমূলেরই এক নেতা এসে আমাদের উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।”
তৃণমূলের মেমারি-২ ব্লকের অবজার্ভার নির্মল ঠাকুর বলেন, “আমাদের ব্লকের টিএমসিপি সমর্থকেরা মনোনয়ন তুলতে গিয়ে বর্ধমান-২ ব্লক সভাপতি শ্যামল দত্তের অনুগামীদের হাতে প্রহৃত হয়েছেন। দলের মধ্যে এমন ঘটনায় আমরা লজ্জিত।” শ্যামলবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “মেমারি-২ ব্লকের ছাত্রেরা নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করেছে। তা চাপা দিতেই এখন আমাদের নামে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” |