জামিন পেতেই গ্রেটার কোচবিহারের নেতা বংশীবদন বর্মনকে মুক্তির দিন সংবর্ধনা জানানোর তোড়জোড় শুরু করে দিলেন জিসিডিপি’র কর্মী সমর্থকরা। রবিবার কোচবিহারের দেওয়ানহাটে ওই ব্যাপারে বৈঠক করেন তাঁরা। গ্রেটার কোচবিহার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরের নেতা কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জিসিডিপি’র সভাপতি আশুতোষ বর্মা বলেন, “বংশীবদনের মুক্তির দিন জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ওই ব্যাপারে সমস্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।’’ জিসিডিপি সূত্রের খবর, বংশীবদনকে স্বাগত জানাতে তাঁর মুক্তির দিন কোচবিহার জেল চত্বরে ব্যাপক জমায়েত করবেন সমর্থকরা। পাশাপাশি ওই দিন বংশীবদনকে নিয়ে সাগরদিঘির চারদিকে শোভাযাত্রা করা হবে। কোচবিহার জেলে বন্দি বাকি কর্মীরা জামিন পেলে বংশীবদনবাবু-সহ সকলকে নিয়ে আরও বড়সড় অনুষ্ঠান করার ব্যাপারেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৬ সালের ২৫ মে থেকে কোচবিহার জেলে বন্দি ওই নেতার সঙ্গে জিসিডিপি’র একটি প্রতিনিধি দলও বংশীর সঙ্গে দেখা করতে যান। বংশীবদনের দাদা মধুসূদন বর্মাও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, “ভাই বাড়ি গেলে বিয়ে করে সংসারী হতে বলব। বাকিটা ওর সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ওর মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য।” বংশীবদনের মা জয়মতি দেবী প্রায় ৬ বছর বাদে ছেলের ঘরে ফেরার খবরে খুশী। ২০০৫ সালে আলাদা র্যাজের দাবিতে গ্রেটারের আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্রও হয়ে উঠে কোচবিহার। তাতে ৩ পুলিশ-সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ৪৩ জন গ্রেফতার হন। বংশীবদনবাবু ২০০৬ সালে আত্মসমপর্ণ করেন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তিনি জামিন পান। এ সপ্তাহে তিনি ছাড়া পাবেন বলে আশা করছে জিসিডিপি। |