পুলিশ ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হল এক নাবালিকার। রবিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্যাগড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, ১৫ বছর বয়সী ওই নাবালিকার নাম পিঙ্কি বসাক। তার বাড়ি মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। সে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। পিঙ্কির বাবা উদয়বাবু কয়েকমাস আগে ট্যাগড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর শ্যামল বসাক নামে এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। এদিন রাতে ট্যাগড়া এলাকারই বাসিন্দা উদয়বাবুর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পিঙ্কির সঙ্গে শ্যামলবাবুর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেইমতো বিয়ের আয়োজনও করা হয়। কিন্তু পাত্র বিয়ে করতে যাওয়ার আগেই এদিন দুপুরে রায়গঞ্জ মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও রায়গঞ্জ থানার পুলিশ কর্মীরা বিয়ের আসরে পৌঁছে উদয়বাবুকে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বেআইনি ভাবে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে পুলিশ ও প্রশাসন ওই নাবালিকার পরিবারের লোকজন ও পাত্র পক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও উদয়বাবুকে জানিয়ে দেওয়া হয়। উদয়বাবু বলেন, “আইন না জেনে ভুল করে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলাম। পুলিশ ও প্রশাসন আমাকে সচেতন করেছে। মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেব না।” বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ দুর্গেশ ঘোষ বলেন, “হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি শনিবার রায়গঞ্জ মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত ভাবে ওই নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই এরপর মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বিয়ে বন্ধ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন।” |