রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলির কাছে ৬৪ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া কর পাওনা রয়েছে দিনহাটা পুরসভার। এক সপ্তাহ আগে তা মেটাতে আর্জি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন চেয়ারম্যান চন্দন ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের নানা দফতরের প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা বকেয়া। চিঠি দিয়ে লাভ হচ্ছে না। টাকার অভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে।” দিনহাটার মহকুমাশাসক অগাস্টিন লেপচা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ এলে বকেয়া মেটানো হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি দফতরগুলির কাছে গড়ে ১০ বছর ধরে কর মিলছে না। তালিকায় মহকুমাশাসকের দফতর, দিনহাটা-১ বিডিও অফিস, হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, দমকল, পূর্ত, পূর্ত (বিদ্যুৎ)-সহ ১০টি দফতর রয়েছে। বকেয়ার পরিমাণ ৪৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৫ টাকা। ২০০৭-০৮ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে মহকুমা শাসকের দফতরের বকেয়া ৮ লক্ষ ৮২ হাজার ২৩০ টাকা। দিনহাটা ১ বিডিও অফিসে বাকি ২০০৬-০৭ থেকে ২০১০-১১ আর্থিক বছরের। বকেয়ার পরিমাণ ৬০ হাজারের বেশি টাকা। মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বকেয়া প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা। দমকল কেন্দ্রের বকেয়া ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৫২৪ টাকা। জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের কাছে ১৯৯৮-১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বকেয়া ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৪৭ টাকা। কেন্দ্রের অধীন দফতরগুলির কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ২১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৯০ টাকা। তার মধ্যে শুল্ক দফতরের সুপারিনটেন্ডেন্টের দফতর ২০০৪-২০০৫ সাল থেকে পুর কর না মেটানোয় তাদের ক্ষেত্রে বকেয়া সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা। কর মেটানো বকেয়া রয়েছে দিনহাটা সাব পোস্ট অফিসেরও। তাদের বকেয়া রয়েছে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। রেলের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ১২ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৮০ টাকা। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ১৯৭৪ সাল থেকেই রেল পুর কর মেটায়নি। কেন্দ্রের তামাক রিসর্চ স্টেশনের কাছে পাওনা রয়েছে ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা। |