প্রায় সাড়ে ৩ মাস আগে স্কুলের পথে নিখোঁজ দশম শ্রেণির এক ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে মালদহের গাজল থানার দেওতলা গ্রামে। রবিবার সদেওতলা গ্রাম থেকে ওই নিখোঁজ ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। সাড়ে তিনমাস ধরে মৃতদেহটি ওএলাকায় পড়ে থাকায় মাংস পচে গলে কঙ্কাল বেরিয়ে গিয়েছে। পচাগলা মৃতদেহের মুখে গেঞ্জি গোঁজা ছিল। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়। তার পরে দেহটি পুকুরের ধারে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির এত কাছে এত দিন ধরে মৃতদেহটি পরে থাকলেও কারও চোখে পড়ল না কেন তা নিয়ে গ্রামবাসীরা ধন্দে। পুলিশ সেটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, সাড়ে তিন মাস পর যে ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর নাম ওবেদুর রহমান (১৫)। সে কাটনা হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “নিখোঁজ ছাত্রের পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে ওই ছাত্রর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবেদেওতলা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ট্যাক্সিচালক আবদুল বারেকের ৬ ছেলেমেয়ের ওবেদুর সবচেয়ে ছোট। অন্য দিনের মতো ২৪ অগষ্ট স্কুল যাওয়ার পর আর সে বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজির পরেও ছেলের হদিশ করতে না-পেরে ওই দিনই রাতে গাজল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বাবা আবদুল বারেক। তবে এতদিন ওবেদুরের কোনও খোঁজই মেলেনি। রবিবার সকালে দেওতলা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জমিতে জল দেওয়ার জন্য আবদুল বারেকের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে পাম্প লাগিয়েছিলেন। জল তোলার সময় কৃষকরা লক্ষ্য করেন পুকুরের পাশে একটি ঝোপে পচাগলা দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরই গ্রামে হইচই শুরু হয়। গ্রামের বাসিন্দারা ছুটে আসেন ঝোপের ধারে। পচাগলা মৃতদেহের গায়ে স্কুল ড্রেস ও গলায় তাবিজ দেখে আবদুল বারেক ওই মৃতদেহকে শনাক্ত করেন। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ছুটে আসে গ্রামে। পচাগলা মৃতদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে। আবদুল বারেক অভিযোগ করেছেন, “তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কে, কেন তাঁর ছেলেকে খুন করেছে সেই ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত পুলিশকে দিতে পারেননি তিনি। তবে জেলা পুলিশ সুপার জানান, মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ অনুসারে মামলা হবে। |