বাজার বসানো নিয়ে সিটু সমর্থিত শ্রমিকদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের গণ্ডগোলে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে। দু’পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত প্রধাননগর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ দিন মাঝপথেই ব্যবসা গুটিয়ে নেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনার বিরোধিতায় আজ, সোমবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে বন্ধ ডাকলেও প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস মেলায় বন্ধ তুলে নেয় সিটু। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে যাতে গণ্ডগোল না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাঠে ফল, সব্জি ও মাছের পাইকারি ব্যবসার বাজার বসান ব্যবসায়ীরা। রবিবার ‘ছুটি’ রয়েছে দাবি করে ব্যবসা বন্ধ করার দাবি তোলেন সিটু সমর্থিত শ্রমিকরা। ব্যবসীয়ারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করার কথা জানালে দু’পক্ষের বচসা বাধে। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে তপন সাহার দাবি, কয়েক বছর ধরে রবিবার সকালে জাতীয় সড়কের ধারে ব্যবসা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রশাসনের ও পুলিশের তরফে জাতীয় সড়কে ব্যবসা করতে নিষেধ করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাঠে অস্থায়ী ভাবে পাইকারি বাজার বসানো হয়। তপনবাবু বলেন, “প্রশাসনের কাছে রবিবার দু’ঘন্টার জন্য আমরা ব্যবসার অনুমতি চেয়েছি। অন্তত পক্ষে পচনশীল ফল, সব্জি, মাছের ব্যবসার ব্যবস্থা হোক। এত দিন রাস্তার ধারে রবিবার বাজার বসছিল। এখন সেখানে বাজার বসতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে। সে জন্যই এ দিন ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।” সিটুর তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে তাদের সংগঠন তৈরি হওয়ার পর থেকে রবিবার শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি মেনে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এত দিন পর্যন্ত সেটা চলছিল। এ দিন নিয়ম ভেঙে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাঠে ব্যবসা শুরু করা হয়েছে। সিটুর নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বাবুল ভৌমিক জানান, এত দিন জাতীয় সড়কের ধারে যে ব্যবসা বসত, তাতে সিটুর শ্রমিকরা কাজ করতেন না। সিটুর তরফে ওই ব্যবসা বন্ধের জন্য কোনও দাবিও করা হয়নি। তিনি বলেন, “জাতীয় সড়কের ধারে ব্যবসা হলে তা প্রশাসনের দেখার কথা। তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির ভিতরে ব্যবসা মেনে নেওয়া হবে না। এটা হলে শ্রমিকরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই বন্ধ ডাকা হয়। পরে সবদিক চিন্তা করে বন্ধ তুলে নেওয়া হয়।” |