অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল পুরুলিয়া শহরের চকবাজার। রবিবার সকালে সেখানে একটি দশকর্মার দোকানে আগুন লাগে। তবে সময় মতো দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন আয়ত্তে আনায় তা ছড়াতে পারেনি। পুরুলিয়া দমকল কেন্দ্রের ওসি সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দোকানের ভিতরে বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের ফলে আগুন ধরেছিল। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন সেখানে গিয়েছিল। একটি ইঞ্জিনের সাহায্যেই আগুন নিভে যায়।”
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টায় ওই দোকানের ভেতরে আগুন লাগে। দোকান থেকে কর্মীরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকল কেন্দ্রে। দমকল কর্মীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আগুন নিভে গেলেও এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে। কারণ, চকবাজার পুরুলিয়া শহরের অন্যতম ঘিঞ্জি এলাকা। যে দশকর্মা দোকানে আগুন লেগেছিল, তার পাশে আরও কয়েকটি দোকান রয়েছে। পিছনে জামা-কাপড়ের অনেকগুলি দোকান রয়েছে। তাই সময় মতো আগুন না নেভানো গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠত বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। |
বাসিন্দাদের মতে, শহরের বাজার এলাকাগুলি খুবই ঘিঞ্জি। তার উপরে গত কয়েক বছরে রাস্তার পাশে অনেক ছোট ছোট গুমটি তৈরি হয়েছে। ফলে আগুন লাগলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার এ ব্যাপারে অবিলম্বে নজর দেওয়া দরকার। পুরুলিয়া চেম্বার অব ট্রেড অ্যান্ড কমার্সের সম্পাদক গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে এলাকায় এ দিন আগুন লেগেছিল, তা জেলার অন্যতম বস্ত্র ব্যবসার কেন্দ্র। আগুন ছড়িয়ে পড়লে মারাত্মক ব্যাপার হতে পারত। জায়গাটি খুবই ঘিঞ্জি ও সংকীর্ণ। তাছাড়া জলের ব্যবস্থাও নেই। প্রশাসন ও পুরসভার ওই এই ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা উচিত।” পুরুলিয়ার পুর প্রধান তৃণমূলের তারকেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহরের বাজার এলাকাগুলিতে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে দমকলের সঙ্গে আলোচনা করব। পাশাপাশি বাজার এলাকার পরিকাঠামো তৈরি করা এবং যে সমস্ত এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
অন্য দিকে, শনিবার দুপুরে খাতড়া থানার গদাহার গ্রামে আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেল ধানের পালুই। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা জল ঢেলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। পরে বাঁকুড়া থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। ওই পরিবার জানিয়েছে, দুপুর ১২টায় গোয়ালে গরুকে জল খাওয়াতে গিয়ে আগুন নজরে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |