স্কুলে ঢুকে বেধড়ক মারধর করা হল এক প্রধান শিক্ষককে। শনিবার বিকেলে কিছু ‘বহিরাগত’ অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুলে ওই হামলা চালায় বলে রবিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে পরিচালন সমিতি। জখম প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ঘোষ বারাসতের একটি নার্সিংহোমে আইসিসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন। তিনি কথা বলার অবস্থায় নেই। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্কুল সূত্রের খবর, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পরিচালন সমিতিতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের দিন স্থির হয়েছে। ওই নির্বাচনের দিন বদলের দাবি নিয়ে শনিবার স্কুলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বচসা বাধে কিছু লোকের। তখনই সুশান্তবাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সুশান্তবাবুর স্ত্রী মৌসুমী ঘোষের বক্তব্য, “এ ব্যাপারে যা বলার স্কুল কর্তৃপক্ষ বলবেন।” স্কুলের সিপিএম প্রভাবিত পরিচালন সমিতির সম্পাদক প্রবীর ঘোষ বলেন, “২৫ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক হওয়ায়, অনেকে রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু এ ভাবে হামলা সমর্থনযোগ্য নয়।” কারা করল ‘হামলা’? তাঁর জবাব, “বাইরের কিছু লোক।”
যদিও অশোনগরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এলাকার সিপিএম নেতা সত্যসেবী করের অভিযোগ, “অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করার ব্যাপারে ইতিপূর্বে ওই প্রধান শিক্ষককে চাপাচাপি করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রধান শিক্ষক তা না মানায় হামলা করেছে তৃণমূলের লোকেরা। ওদের এক কাউন্সিলরের উপস্থিতিতেই মারধর করা হয়েছে সুশান্তবাবুকে।” প্রতিবাদে সোমবার এলাকায় সভা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের ধীমান রায়। তাঁর বক্তব্য, “শিক্ষককে এ ভাবে মারধর করা খুবই অন্যায়। দলের তরফে প্রধান শিক্ষককে ভোটের দিন বদলানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে শনিবারের ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।” |