বালিবোঝাই একটি ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও এক বালককে কান্দি মহকুমা হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রবিবার সকালে ভরতপুরের কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের অঙ্গারপুর বক্স সেতুতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম গদাধর পাল (৩৮), কিরীটী ভট্টাচার্য (৩০) ও তাঁর মেয়ে দোলন ভট্টাচার্য (৭)। গদাধরবাবুর বাড়ি ভরতপুরের মাসলার গ্রামে। কিরীটীবাবু ও দোলনের বাড়ি খড়গ্রামের হরিপুরে। গুরুতর জখম হয়েছেন গদাধরবাবুর ছেলে রবীন্দ্রনাথ পাল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বালিবোঝাই লরিটি ময়ূরাক্ষী নদীর পাড় থেকে বালি নিয়ে ভরতপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে গদাধরবাবু ও কিরীটীবাবু সাইকেল চালিয়ে তাঁদের ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে আসছিলেন। সেতুতে ওঠার সময়ে ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাক্টরটিকে আটক করতে পারলেও চালক পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাক্টরের চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। কান্দির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনামিত্র দাস বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। গাড়িতি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলে ধাক্কা মেরে ফুটপাথের উপরে উঠে যায়। চালকের খোঁজ করা হচ্ছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর গদাধরবাবু ও রবীন্দ্রনাথ সাইকেলে চেপে কান্দিতে চিকিৎসা করাতে আসছিলেন। কিরীটীবাবু ও তাঁর মেয়ে দোলন বাড়ি ফিরছিল। হাসপাতালে বসে কিরীটীবাবুর স্ত্রী জুঁইদেবী বলেন, “আমার বাবা বঙ্কিম ভট্টাচার্যের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সেরে ওরা বাড়ি ফিরছিল। মেয়ের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ওদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল।” চিকিৎসারত অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমরা খুবই আস্তে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রাক্টরটা উল্টো দিক থেকে এসে ধাক্কা মারল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় এমনিতেই অনেকগুলো বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে। তার উপরে প্রচুর ট্রাক্টরও রাস্তায় যাতায়াত করে। গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাই নেই রাস্তায়। |