|
|
|
|
কর্মী হেনস্থার তদন্তে রেল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে নন-রেল হেড রিজার্ভেশন কাউন্টারের সুপারভাইজারকে হেনস্থা করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল রেল। রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের চিফ কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর অনুপম পালোধি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে জেনেছি, ওখানকার রিজার্ভেশন সুপারভাইজার সুদীপ সরকারের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্তও হচ্ছে। রিজার্ভেশন কাউন্টারগুলিতে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য কমাতে রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হবে।” শনিবার সকালে পটাশপুর থানা এলাকার প্রতাপদিঘির ঘটনা। এগরার সার্কেল ইন্সপেক্টর প্রদীপ সমাদ্দার বলেন, “পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই কর্মীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। রাতে রেলের আধিকারিকেরা তাঁকে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় রেল বা স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।” এ দিকে, গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতাপদিঘির ওই রিজার্ভেশন কাউন্টারের উদ্বোধন হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা রেলের কর্মীরা সাধারণ মানুষকে টিকিট না দিয়ে বেশিরভাগ সময়ে দালালদর কাছে টিকিট বিক্রি করে দেন। ফলে অনেক বেশি টাকা দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দালালের কাছ থেকে টিকিট কিনতে হয়। পটাশপুর-২ ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি স্বপন মাইতির অভিযোগ, “শনিবার সকালে কাউন্টারের সামনে কাউন্টারের সামনে লাইন থাকা সত্ত্বেও ওই রেলকর্মী আগেই দালালদের টিকিট বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ব্যাপারটি বুঝতে পেরে কাউন্টারে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।” অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ওই রেলকর্মীকে ঘিরে ধরে হুমকি, গালিগালাজ করে। পুলিশ গেলে ওই রেলকর্মীকে গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। পরে থানায় গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। রেল কর্মীদের সংগঠন সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|