|
|
|
|
কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
দলবিরোধী কাজ, চার জনকে বহিষ্কারের প্রস্তাব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেশপুর নিয়ে জেরবার তৃণমূল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উঠেছে চরমে। সংঘর্ষ ও মিছিল হচ্ছে নিত্য। এমনই এক মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য চার তৃণমূল নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির কাজে আবেদন জানালেন ব্লক নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার কেশপুর বাজারে কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে ওই মিছিল করেছিল তৃণমূলের যে গোষ্ঠী, তারা পূর্বতন ব্লক সভাপতি চিত্ত গরাইয়ের যেমন অনুগামী নয়, তেমনই বর্তমান সভাপতি আশিস প্রামাণিকেরও অনুগামী নয়। দুই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে মিছিল হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া চার জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য শনিবার জেলা কমিটির কাছে আবেদন জানালেন ব্লক সভাপতি। এঁরা হলেন, নেপাল ঘোষ, মীর আরশেদ আলি, গোলাম মোর্তাজা ও শেখ মইনুদ্দিন। কেশপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি আশিস প্রামাণিক বলেন, “এই চার জন কেশপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ব্লক বা জেলা নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়াই তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল করছে। যে মিছিলে সিপিএমের লোকও সামিল। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণেই ওই চার জনকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছি।” অবশ্য আলোচনার দরজাও খোলা রাখছেন আশিসবাবু। ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে যদি ওই চার জন দলীয় নির্দেশ মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন, তাহলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। আশিসবাবুর কথায়, “আমরা চাই দলীয় শৃঙ্খলা মেলে নেতা-কর্মীরা কাজ করুন। তাই আলোচনার পথও খোলা রাখছি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে গেলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের সুপারিশ তুলে নেব।”
এ দিকে, মিছিলের দিনে ওই চার জন-সহ বাকিদের তৃণমূল সমর্থক বলে মানতে অস্বীকার করেছিলেন ব্লক সভাপতি। এমনকী থানাতেও লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন, যাঁরা তৃণমূলের নাম করে মিছিল করার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নন। পরবর্তী কালে তাঁদেরই বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে প্রকারান্তরে নেতা-কর্মী বলে স্বীকার করে নেওয়া হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এর আগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কেশপুরের লালগেড়্যা গ্রামের শেখ আব্দুল মান্নান ও বাজুয়াড়ার শেখ নুরুল হক-কে। |
|
|
|
|
|