|
|
|
|
নতুন জেলা গ্রন্থাগার কমিটি, দলতন্ত্র মেনেই প্রাধান্য তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন জেলা গ্রন্থাগার কমিটিতে প্রাধান্য রইল তৃণমূলেরই।
গ্রন্থাগার পরিচালনার জন্য জেলা স্তরে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। সেখানে সরকারি প্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্তার পাশাপাশি গ্রন্থাগার কর্মীদেরও দু’জন প্রতিনিধি থাকেন। শনিবার কর্মী প্রতিনিধি নির্বাচনে অবাম সংগঠন বঙ্গীয় সাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যান সমিতির এক জন সদস্য জয়ী হয়েছেন। অন্য দিকে বাম সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ সাধারণের গ্রন্থাগার কর্মী সমিতির প্রতিনিধিও একটি আসনে জয়ী হয়েছেন। ফলে দুই পক্ষেরই দু’জন প্রতিনিধি থাকবেন কমিটিতে। অন্য দিকে কমিটির বাকি সদস্যদের তালিকা আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যতই দলতন্ত্রের ঘেরাটোপ থেকে বেরনোর কথা বলুন না কেন, নতুন কমিটিতে তৃণমূলেরই প্রাধান্য। কমিটিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি, জেলা সাধারণ সম্পাদক, বিধায়ক, কাউন্সিলরেরাই রয়েছেন।
জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পান রাজনীতির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, “নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। আরও ভাল কাজ হবে এটাই আশা করব। কর্মীদের নির্বাচনও হয়েছে সুষ্ঠু ভাবেই।” আর তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই আমাদের দলের, এ কথা ঠিক নয়। সরকার ও প্রশাসন মিলে এই কমিটি গঠন করেছে। তাতে অন্য মতাদর্শের সদস্যও রয়েছেন।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গ্রন্থাগারের সংখ্যা ১৫৮টি। যার মধ্যে জেলা গ্রন্থাগার, শহর গ্রন্থাগার যেমন রয়েছে তেমনই গ্রামীণ গ্রন্থাগারও রয়েছে। গ্রামীণ গ্রন্থাগারের সংখ্যাটাই বেশি। গ্রন্থাগার কেমন চলবে, তার উন্নয়নে কী পরিকল্পনা প্রয়োজন, কী ভাবে সেই পরিকল্পনা রূপায়িত হবেএই সব বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। ২১ জনের ওই কমিটির চেয়ারম্যান হন জেলাশাসক। সম্পাদক থাকেন জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক। পদাধিকার বলে এই দু’টি পদ অপরিবর্তিত। তারই সঙ্গে সদস্য হবেন জেলা সভাধিপতি। বর্তমানে জেলা পরিষদ সিপিএমের দখলে। ফলে জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য সিপিএমের হলেও তাঁকে সদস্য করতে হয়েছে। তার বাইরে সবই প্রায় তৃণমূল। দুই কাউন্সিলরের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার গৌরী ঘোষ ও ঝাড়গ্রামের প্রশান্ত রায়। দুই বিধায়ক রয়েছেন, দুলাল মুর্মু ও শঙ্কর দোলই। এমনকী শিক্ষাবিদ হিসাবে ওই কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক অজিত মাইতি, দাঁতনের তৃণমূল নেতা বিক্রম প্রধান ও অঞ্জুশ্রী কর। |
|
|
|
|
|