ফুসফুসের টিউমারের সঙ্গে যুদ্ধ জিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চান যুবরাজ সিংহ। আপাতত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় এক দিনের ত্রিদেশীয় সিরিজকে পাখির চোখ করে নিজেকে তৈরি করতে শুরু করেছেন ভারতের বিশ্বকাপ নায়ক। নিজের তিরিশতম জন্মদিনের পা রাখার ঠিক এক দিন আগে যুবরাজ আজ জানিয়েছেন নিজের সেই সঙ্কল্পের কথা। বলেছেন, “আমি আবার খেলার মাঠে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছি। আমার লক্ষ্য ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজটা খেলা।”
আজ এখানে এক প্রচার অনুষ্ঠানে এসে দুরারোগ্য ব্যধির সঙ্গে নিজের কঠিন লড়াই নিয়ে খোলাখুলি অনেক কথাই বললেন যুবরাজ। জানালেন, সংবাদমাধ্যম এবং অনুরাগীদের কাছ থেকে নিজের অসুখের কথাটা এতদিন গোপন করে রেখেছিলেন অকারণ প্রচার চাননি বলেই। যুবরাজের কথায়, “শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে ভীষণ, ভীষণ কঠিন একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি গত কয়েকটা মাস।” |
নিজের বাঁ-দিকের ফুসফুসে গল্ফ বলের মাপের একটা টিউমার রয়েছে বলে প্রথম জানতে পারার পরে স্বাভাবিক কারণেই যথেষ্ট ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে চিকিৎসকেরা যখন বলেন ওটা ক্যান্সার। “টিউমারটার কথা জানতে পারার পরে বেশ মুষড়ে পরেছিলাম। প্রচণ্ড একটা উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তা ঘিরে ফেলেছিল। ওই সময় মা পাশে থেকে সাহস না যোগালে থাকলে কী হত জানি না।” তাঁর টিউমারের কথা জানার পরে যুবরাজের গোটা পরিবারই গভীর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু অলরাউন্ডারের মা শবনম ছেলেকে রোগের সঙ্গে লড়াই চালানোর সময় ভেঙে পড়তে দেননি।
যুবরাজ জানিয়েছেন এই মুহূর্তে তিনি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরোদস্তুর প্র্যাক্টিস শুরু করে দিতে চান। যাতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ত্রিদেশীয় সিরিজটায় মাঠে ফিরতে পারেন। তবে অসুস্থতার কারণে ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকতে বাধ্য হওয়া নিয়ে তাঁর কোনও রকম আফসোস বা হতাশা নেই। যুবরাজকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে পারলেন না বলে কি হতাশ লাগছে? উত্তরে যুবরাজ বলেন, “না, আমি একেবারেই হতাশ নই। কোনও আফসোসও নেই। কারণ আমার কাছে এই মুহূর্তে স্স্থ হয়ে ওঠাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” |