টুকরো খবর
কামিন্স না থাকায় সিরিজে ভারসাম্য আসবে: স্টিভ ওয়
তরুণ পেসার প্যাট কামিন্স চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে সমতা এসেছে বলে মনে করছেন স্টিভ ওয়। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘গ্রিন টপ’ উইকেট না করলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আটকাতে পারবেন না মাইকেল ক্লার্করা।“বক্সিং ডে টেস্টে কামিন্স বনাম দ্রাবিড় বা কামিন্স বনাম সচিন লড়াই দেখা যাবে না, এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। কামিন্স দলে থাকলে আমি অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকতাম। ওর অনুপস্থিতি সিরিজটায় ভারসাম্য এনে দেবে,” বলে স্টিভ যোগ করেছেন, “পিচের উপরও সিরিজের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে। ভারতীয়রা স্লো, টার্নিং উইকেট চাইবে। সে রকম উইকেট পেলে ওদের আটকানো খুব কঠিন হয়ে যাবে। বাউন্সে ভরা গ্রিন টপ উইকেট দরকার ক্লার্কদের।” চোটের জন্য কামিন্সের পাশাপাশি এই মুহূর্তে জাতীয় দলে নেই মিচেল জনসন, রায়াল হ্যারিস-রা। যা নিয়ে স্টিভ বলছেন, “অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে এখন এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। তরুণ ক্রিকেটারদের চোট পাওয়াটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। দেখতে হবে এটা কেন হচ্ছে, কী ভাবে এটার মোকাবিলা করা যায়।” তরুণ কামিন্সকে আইপিএলের কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে দিয়ে স্টিভ যোগ করেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলাটাই ওর কাছে যেন অগ্রাধিকার পায়। আইপিএল থেকে প্রচুর টাকা উপার্জন করার সুযোগ আছে ঠিকই, কিন্তু এই মুহূর্তে ওটা নিয়ে না ভাবাই ভাল।”

অস্ট্রেলিয়া ভাল জায়গায়
চতুর্থ ইনিংসে দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় টেস্টও জেতার আশা দেখাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের তৃতীয় দিনে ২৪১ তাড়া করতে নেমে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিল হিউজ তুলেছেন ৭২ রান। জেতার জন্য বাকি ১৬৯ রান তুলতে অস্ট্রেলিয়ার হাতে আছে ১০ উইকেট এবং দু’দিন সময়। ফলে প্রথম ইনিংসের মতো অপ্রত্যাশিত ব্যাটিং বিপর্যয় না ঘটলে ব্রিসবেনের পরে বেলেরিভ ওভালেও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ ২-০ জেতার পথে মাইকেল ক্লার্করা। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে যেটা অস্ট্রেলীয়দের বাড়তি অক্সিজেন যোগাতে বাধ্য। দিনের শেষে ওয়ার্নার ৪৭ ও হিউজ ২০ রানে অপরাজিত। বৃষ্টির কারণে দফায় দফায় খেলা বন্ধ হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে দুই বাঁ-হাতি অস্ট্রেলীয় ১৯ ওভার ব্যাট করেছেন। তৃতীয় ওভারে ক্রিস মার্টিনের বল হিউজের গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটকিপার ইয়াংয়ের হাতে জমা পড়েছিল বলে ‘হট স্পট’-এ দেখা যায়। কিন্তু নিউজিল্যান্ড দল রিভিউ না চাওয়ায় বেঁচে যান ব্যাটসম্যান। লো স্কোরিং টেস্টে এ দিন নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ ৭ উইকেট হারায় ৮৭ রানে। গত কালের ১৩৯-৩ থেকে এ দিন শুরু করেছিল কিউয়িরা। কিন্তু অস্ট্রেলীয় বোলারদের দাপটে লাঞ্চের আগেই ২২৬ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। অধিনায়ক রস টেলর (৫৬) বাদে আর কেউ বড় রান পাননি। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া জেমস প্যাটিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট পান ৫৪ রানে। তিনটি করে উইকেট নেন পিটার সিডল এবং স্পিনার নাথান লিয়।

ইস্টবেঙ্গল আজ অঘটন চায় না
কলকাতা লিগে পরপর দু’ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট হারাল মোহনবাগান। তা-ও লাল-হলুদ কোচ ট্রেভর মর্গ্যান মনে করছেন না, তাঁর দল লিগে অনেক এগিয়ে গেল। আজ পিয়ারেলেসের বিরুদ্ধে নামার আগেও তাই সতর্ক মর্গ্যান। রবিবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে মর্গ্যান বললেন, “অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল তখনই হবে যদি আমরা নিজেদের ম্যাচগুলো জিততে থাকি।” আজ পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে খেলার পর কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলকে খেলতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই। কিন্তু সেই ম্যাচ ৭ জানুয়ারি। মর্গ্যান এখনই ঘরোয়া লিগের বড় ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করতে নারাজ। বরং বলছিলেন, “পিয়ারলেস ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিততে হবেই।” যদিও ডেম্পো ম্যাচের জন্য ইস্টবেঙ্গল কোচ তুলে রাখছেন প্রথম এগারোর বেশিরভাগ ফুটবলারকেই। যে দলে রয়েছেন টোলগে, ওপারারা। আজ পিয়ারলেসকে সামলাতে তাঁর ফরোয়ার্ড হয়তো বলজিৎ সিংহ, লেন এবং বুধিরাম টুডু। মাঝমাঠে খেলার সম্ভাবনা চরণ রাই, সুবোধ কুমার, খানতাং পাইতের। আর রক্ষণে দুই সুনীল কুমারের পাশে খেলতে পারেন সৌমিক দে এবং সৈকত সাহা রায়। সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরিও মোহনবাগানের হারে খুব খুশি হচ্ছেন না। তাঁর কথায়, “আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। নিজেদের জেতার কাজটা করে যেতে হবে।”

হ্যামিল্টন প্রয়াত
আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার হ্যামিল্টন ববি। দুই সন্তানের পিতা হ্যামিল্টনের বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। তাঁর স্ত্রী বর্তমান। সন্তোষ ট্রফিতে দু’বার তামিলনাড়ুর অধিনায়কত্ব করা হ্যামিল্টন ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার জেভিয়ার পায়াসের ছোট ভাই। কলম্বোয় প্রেসিডেন্টস কাপে ভারতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলেন হ্যামিল্টন। গোয়ায় পর্তুগাল দলের বিরুদ্ধেও জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অনূর্ধ্ব ১৬ এবং অনূর্ধ্ব ২৩ জাতীয় দলের হয়েও খেলেছিলেন। ১৯৯৩ থেকে ২০০০, টানা সাত বছর তামিলনাড়ু দলের মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা ছিলেন। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক-সহ খেলেন কয়েকটি নামী ক্লাবের হয়েও। ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার হ্যামিল্টন শনিবার অফিসে কাজ করতে করতে আচমকাই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

বিজয়ের নজির
‘গুরু’-র ঐতিহাসিক ২১৯-এর গায়ে গায়েই নজির গড়ল ‘ছাত্র’ বিজয় জোল। অনূর্ধ্ব ১৯ কোচবিহার ট্রফির লিগ ম্যাচে মহারাষ্ট্রের হয়ে ৪৫১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকল ১৭ বছরের বা- হাতি ওপেনার বিজয়। গুরু অবশ্যই বীরেন্দ্র সহবাগ। অনূর্ধ্ব ১৬ দলে খেলার সময় আট মাস আগে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একটি ক্যাম্পে সহবাগের সঙ্গে আলাপ বিজয়ের। বিজয়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটান সহবাগ। একটি ব্যাটও উপহার দেন। সেই ব্যাটে লেখা ছিল, ‘বিজয় জোল-কে আমার শুভেচ্ছা।’ জোল জানাচ্ছে, সহবাগের সঙ্গে কথা থেকেই ৪৫১ রানের ইনিংসের অনুপ্রেরণা এসেছিল। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনও ভারতীয়র সবচেয়ে বেশি স্কোর ছিল ভৌসাদেব নিম্বলকরের। ’৪৮-এ মহারাষ্ট্র বনাম কাথিয়াওয়ার রঞ্জি ম্যাচে ৪৪৩ করেন তিনি।

বক্সিংয়ের নির্বাচন
এক দশকের উপর রাজ্য বক্সিং সংস্থার দুই যুযুধান গোষ্ঠীর ঝামেলা অব্যাহত। তার মধ্যেই সংস্থার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হল রবিবার। কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচনের জন্য স্পেশ্যাল অফিসার নিয়োগ করেছে ভারতীয় বোর্ডের প্রাক্তন আইনজীবী উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর উপস্থিতিতে দুই গোষ্ঠীর সামনে ঠিক হল নির্বাচন হবে নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি।

অন্য খেলায়
• আন্তঃজেলা সাব-জুনিয়র ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বারুইপুরের সাগর সঙ্ঘ মাঠে ৭-১ জিতল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা। হারাল মানভূম জেলাকে। হ্যাটট্রিক করলেন দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়।
• টি এস ডব্লিউ ইউ এর পরিচালনায় একদিনের দিন-রাতের ফুটবল প্রতিযোগিতা ১৮ ডিসেম্বর খড়গপুর টাটা বিয়ারিং-এর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
• ৪৪ তম স্বামী অভেদানন্দ চ্যারিটেবল ইউনিটেডের বার্ষিক ক্রীড়া উৎসব হবে ২১-২৩ জানুয়ারি, খড়দহে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন পাঁচশোরও বেশি প্রতিযোগী।

সোমবারে
কলকাতা ফুটবল লিগ
ইস্টবেঙ্গল : পিয়ারলেস (ইস্টবেঙ্গল, ২-০০)




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.