বার্সেলোনার কাছে ঘরের মাঠে তিন গোল খেয়ে ‘এল ক্লাসিকো’-র হারকে রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজার হোসে মোরিনহো বলছেন, “দুভার্গ্য”। মোরিনহোর টিমের মাঝমাঠের স্তম্ভ জাবি আলোন্সো আবার বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলটাকে লিও মেসিদের পক্ষে “সৌভাগ্য” বলছেন। সঙ্গে যোগ করেছেন, “ও ভাবে দ্বিতীয় গোলটা আমাদের খেতে হওয়ার পরেই আমাদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল!” ১-১ অবস্থায় দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনার জাভির প্রচণ্ড জোরালো ভলি রিয়ালের মার্সেলোর গায়ে লেগে অনেকটা বাঁক খেয়ে গোলে ঢোকে। অসহায় গোলকিপার কাসিয়াসের কিছু করা ছিল না।
জাবি বলেছেন, “প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আমরা দারুণ শুরু করেছিলাম। কিন্তু ওই গোলটাই সব শেষ করে দিল। ও রকম ভাবে গোল খাওয়াটা আমাদের মানসিক ভাবে ভীষণ আঘাত করেছিল। তার পর ওদের তৃতীয় গোলটা আমাদের একেবারে মেরেই ফেলল।” ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর এত বড় ব্যবধানে হারাটা আমাদের পক্ষে সত্যিই লজ্জার।” |
এ দিকে ‘এল ক্লাসিকো’য় দুর্দান্ত জয়ের পরেই বার্সেলোনা মুখোমুখি হচ্ছে একটি এশীয় দলের। মাদ্রিদ থেকে মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তারা সরসারি চলে আসছেন টোকিওয়। যেখানে বার্সা আগামী বৃহস্পতিবার বিশ্ব ক্লাব কাপ সেমিফাইনাল খেলবে কাতারের আল সাদ-এর বিরুদ্ধে। জাভি বলেছেন, “এল ক্লাসিকো জিতে স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ আনন্দ হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, রিয়ালের বিরুদ্ধে আমাদের জয়টা এসেছে সম্পূর্ণ টিমগেম খেলে। একটা দল হিসেবে খেলে আমরা মাঠে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রমাণ করেছি।”
অন্য দিকে, গত রাতে বের্নাবৌ স্টেডিয়ামে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর খারাপ ফর্ম, এক রকম ফাঁকা গোলে হেড দিতে না পেরে গোল মিসএ সব কিছুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সতীর্থ কাসিয়াস। বলেছেন, “শুধু রোনাল্ডো নয়, আমাদের সবাইয়েরই এই ম্যাচে একশো কুড়ি শতাংশ পারফর্ম করা দরকার ছিল। আমরা পারিনি, তাই হেরেছি।”
রোনাল্ডোদের ম্যানেজার অবশ্য তাঁদের ‘খারাপ ভাগ্যকে’ই সবচেয়ে বেশি দুষছেন। মোরিনহো বলেছেন, “অনেক খেলায় ভাগ্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ম্যাচটা সে রকমই একটা ম্যাচ ছিল। ১-০ এগিয়ে যাওয়ার পর আমাদের সামনে ২-০ এগিয়ে যাওয়ারও সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। যেটা রোনাল্ডোর মতো প্লেয়ারও কাজে লাগাতে পারেনি। অথচ ওরা দ্বিতীয় গোলটা পেল আমাদের ফুটবলারের গায়ে লেগে অভাবিত ভাবে ‘রিফ্লেক্ট’ হয়ে! এগুলোকে দুর্ভাগ্য ছাড়া একে আর কী বলব! |