জীবনের প্রথম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি আমরি-র বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলেন মনোজ তিওয়ারি। চেন্নাইয়ে ম্যাচ শেষে রবি শাস্ত্রীকে বলে দিলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমার শহরে একটা বড় ট্র্যাজেডি হয়ে গিয়েছে। বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি অত্যন্ত মর্মাহত। আজকের এই সেঞ্চুরি আমি ওই অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের স্মৃতিতে উৎসর্গ করতে চাই।” বক্তব্যে অভিভূত দেখায় রবি শাস্ত্রী-কে, “অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। ধন্যবাদ মনোজ।”
শুধু রবি শাস্ত্রীই নন, টিভি বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় মঞ্জরেকরকেও বলতে হয়, “মনোজ একটা সুযোগ পেয়েই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। কিন্তু ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার নিয়ে যখন ও সেটা কলকাতার ট্র্যাজেডিতে মৃতদের জন্য উৎসর্গ করল, তখন মনটা ভরে গেল। ওর মতো তরুণ ক্রিকেটারের জন্য গর্ব হচ্ছে।” |
স্বভাবতই ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল মনোজকে। কিন্তু পেশির টানের জন্য মাঠ ছাড়া নিয়ে আফসোস যাচ্ছে না তাঁর। বলছিলেন, “আমার ভুল হয়েছে। ম্যাচের আগে যতটা জল খাওয়া উচিত ছিল ততটা খাইনি। তাই ক্র্যাম্প হয়ে গেল। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব।”
জাতীয় দলে প্রথম এগারোর দরজা খুলল সিরিজের শেষ ম্যাচে। ব্যাট করতে নামার সময় চাপ ছিল না? মনোজের জবাব, “টিম ম্যানেজমেন্ট এবং টিমমেটরা ড্রেসিংরুমে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। কোনও অসুবিধে হতে দেয়নি। ওদের সকলকে আলাদা করে ধন্যবাদ।” জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি যে উপভোগ করেছেন, বারবার বলছিলেন। “প্রতি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। উইকেট খুব সহজ ছিল না। বরং স্লো উইকেট। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। প্রথমে ক্যাপ্টেন গম্ভীর আমাকে সাহস দেয়। পরে বিরাট। দু’জনের সঙ্গেই ব্যাটিং উপভোগ করেছি।” গৌতম গম্ভীর তো বটেই, ম্যাচ শেষে মনোজকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে গেলেন সিরিজ-জয়ী অধিনায়ক বীরেন্দ্র সহবাগ এবং সিরিজ সেরা রোহিত শর্মাও। “মনোজের জন্য খুব ভাল লাগছে। যখন তরুণ কোনও ক্রিকেটার জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি করে, কী অনুভূতি হয় আমি জানি,” বলেন সহবাগ। |