নিজস্ব সংবাদদাতা • কোন্নগর |
গোলমালের জেরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে। শনিবার এসএফআই এবং টিএমসিপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারিও বাধে। কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দী বলেন, “নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর জেলাশাসকের দফতরে বৈঠক রয়েছে। এই মুহূর্তে এর থেকে বিশদে কিছু বলা যাবে না।”
দীর্ঘদিন এই কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতা এসএফআইয়ের হাতে। কলেজ সূত্রের খবর, আগামী ২২ ডিসেম্বর সেখানে ভোট হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ছিল গত শুক্র এবং শনিবার। নির্বাচনের কাজ বিধিসম্মত হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে টিএমসিপি সমর্থকেরা ওই প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। অভিযোগ, এসএফআই সমর্থকদের তারা কলেজে ঢুকতে দেয়নি। শুক্রবার মনোনয়ন দেওয়া যায়নি। শনিবারেও একই পরিস্থিতি। গোলমালের আশঙ্কায় এবং আগামী ১৩ তারিখে প্রশাসনিক বৈঠক থাকায় নির্বাচন স্থগিত করে দেয় কলেজের নির্বাচন সংক্রান্ত পরিচালক কমিটি। অভিযোগ, তৃণমূলের ছেলেরা গোলমালের চেষ্টা করে। পুলিশ আসে। প্রশাসনের কর্তারাও পৌঁছন। পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও সন্ধ্যায় ফের গোলমাল হয় সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি বাধে। এর জেরে এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, “যেখানে যেখানে নির্বাচনে আমাদের জয় আটকানো যাবে না, সেখানেই টিএমসিপি গোলমাল করে, আমাদের ছেলেদের মারধর করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।” কোন্নগর শহর টিএমসিপি-র সভাপতি রঞ্জিৎ বড়ুয়ার অবশ্য দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। সিপিএমের কিছু পঞ্চায়েত সদস্য এবং বহিরাগত গুণ্ডাই বরং আমাদের ৩ সমর্থককে মারধর করেছে। পুলিশকে সব জানিয়েছি।”
টিএমসিপি শিবিরের বক্তব্য, ১-৬ তারিখ পর্যন্ত কলেজ বন্ধ ছিল। ৭ তারিখে কলেজ খুলতেই নির্বাচন-সংক্রান্ত নোটিস টাঙানো হয়। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে মনোনয়নপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়। কোনও আলোচনা ছাড়াই ওই ঘোষণা করা হয়। রঞ্জিৎ বলেন, “অধ্যক্ষ সিপিএমের কথায় ওঠেন, বসেন। শুধু সিপিএমের সঙ্গে কথা বলেই তিনি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন ওদের জেতানোর জন্য। এটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি নয়। আমরা এরই প্রতিবাদ করেছি।” |