খুনের ‘হুমকি’, গ্রেফতার পাঁচ |
এক প্রোমোটারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল পাঁচ যুবক। শনিবার রাতে, বালি থানার রামলোচন সায়র স্ট্রিটে। ধৃতদের নাম কার্তিক ঘোষ, সূর্য মিশ্র, অমর দাস, সহদেব কর্মকার ও বিদেশচন্দ্র দাস। পুলিশ জানায়, মন্দির তৈরির জন্য ওই প্রোমোটারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল স্থানীয় কিছু যুবক। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ওই হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, গোলবাড়ি থানার বিজয়কৃষ্ণ মুখার্জি রোডের বাসিন্দা সুগ্রীব সিংহ বেলুড়ের গাঙ্গুলি স্ট্রিটে একটি আবাসন তৈরি করছেন। ওই রাতে নির্মীয়মাণ আবাসনটিতে স্থানীয় ২০-২৫ জন যুবক যায়। অভিযোগ, দাবি মতো টাকা না পাওয়ায় ওই যুবকেরা সুগ্রীববাবু ও তাঁর কর্মীদের গালিগালাজ করে। কয়েক জনকে মারধরও করা হয়। এর পরে সুগ্রীববাবুকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। সুগ্রীববাবু বলেন, “১০ হাজার টাকা চাঁদা দেব বলেছিলাম। কিন্তু ওরা বলল, ‘অনেক দিন ঘোরাচ্ছ। এ বার পাঁচ নয়, দশ লাখ দিতে হবে।’ দিতে পারব না বলতেই প্রাণে মারার হুমকি দিল ওরা।” পুলিশ সূত্রে খবর, সুগ্রীববাবু রাতেই বালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তখনই ওই যুবকদের গ্রেফতার করা হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) রশিদ মুনির খান বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”
|
আরামবাগের বিশিষ্ট সমাজসেবী অবনীমোহন বটব্যালের জীবনাবসান হল গত ৬ ডিসেম্বর। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। খানাকুলের রামনগরে নিজের বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রামনগর কৃষি উন্নয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। নানা উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
|
বিয়েবাড়ির বাসের ধাক্কায় মৃত্যু ছাত্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া |
বিয়েবাড়ির বাসের সঙ্গে মোটর বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ছাত্রের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পুড়শুড়ার বলরামপুর পীরতলায়। পুলিশ জানায়, বিশ্বজিৎ রায় (২১) নামে ওই যুবক চাঁপাডাঙা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বাড়ি আরামবাগের ভগবানপুর গ্রামে। কলেজে অনুষ্ঠান দেখে চিলাডাঙিতে বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার পথে পুড়শুড়াগামী একটি বিয়েবাড়ির বাসের সঙ্গে তাঁর বাইকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।
|
খানাকুলের ধরমপুর হাই মাদ্রাসার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপী নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানান, অনুষ্ঠান শেষ হবে আজ, সোমবার।
|
রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ক্লাবঘর থেকে উদ্ধার হলেন এক যুবক। রবিবার, হাওড়ার ডুমুরজলায়। জখম পরিতোষ হাজরার বাড়ি ঠাকুর রামকৃষ্ণ লেনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকদের অনুমান, তাঁর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া উন্নয়ন সংস্থার জমি দখল করে ডুমুরজলায় ওই ক্লাবটি তৈরি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ক্লাবে নানা অসামাজিক কাজকর্ম হয়। দুষ্কৃতীদেরও আনাগোনা রয়েছে সেখানে। রবিবারও সেখানে কয়েক জন মদ খাচ্ছিলেন। সঙ্গে পরিতোষ ছিলেন। পুলিশ জানায়, পরিতোষের প্লাস্টিকের জিনিস তৈরির ব্যবসা আছে। জমি-বাড়ির দালালির সঙ্গেও যুক্ত তিনি। পুলিশের সন্দেহ, টাকার ভাগ নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা। এলাকাবাসীরা জানান, রবিবার স্থানীয় এক যুবককে ওই ক্লাব থেকে পালাতে দেখে তাঁকে ধরা হয়। তাঁর প্যান্টে রক্তের দাগ ছিল। ওই যুবক এলাকাবাসীদের জানান, ক্লাবে এক জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এর পরেই স্থানীয়েরা পুলিশে খবর দেন।
|
স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচন ঘিরে গোলমাল ছড়াল লিলুয়ার সোয়াইকা হাইস্কুলে। রবিবার সকাল ন’টা থেকে ওই নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, ভোটাভুটি শুরুর কিছুক্ষণ আগে থেকেই তৃণমূল সমর্থকেরা সিপিএমের প্রার্থী ও এজেন্টকে মারধর করে ঘর থেকে বার করে দেয়। ঘরে আটকে রাখা হয় নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও। বাম ও গণতান্ত্রিক মোর্চা সমর্থিত অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ব্যাপক হারে ছাপ্পা ভোট দিয়ে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ঘটনার আঁচ পেয়ে আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। তবে তৃণমূল বিধায়ক সুলতান সিংহ বলেন, “কোনও গোলমালের কথা আমার জানা নেই। মাত্র দশ শতাংশ ভোট পাওয়ার হতাশা থেকে এই অভিযোগ সিপিএমের।”
|
দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে গঙ্গা থেকে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার, বেলুড় অম্বিকা জুট মিলের জেটি থেকে। মৃতার নাম গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় (৭৩)। পুলিশ জানায়, প্রাক্তন সরকারি কর্মী গীতাদেবী বালিতে একাই থাকতেন। তাঁর বাঁ হাত পক্ষাঘাতে অসাড় হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। শুক্রবার ভোর থেকে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা গীতাদেবীর খোঁজ না পেয়ে বালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশ জানায়, ওই দিনই গীতাদেবীর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট মেলে। সেখানে তিনি নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথাই লিখেছিলেন। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণে ওই বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন। |