দুইয়ের বেশি সন্তান হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবনাচিন্তা শুরু করল বিহার সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম বহাল রয়েছে। সেই নিয়মকেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও চালু করতে চায় সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী হরিপ্রসাদ শায়ের মৃত্যুতে তাঁর জায়গায় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন রাজ্যের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী ভীম সিংহ।
পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পরেই তিনি বলেন, “দুইয়ের বেশি সন্তান হলে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। সরকার চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না। ধীরেসুস্থেই সরকার যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।”
ভীম জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত আইন চালু করার আগে রাজ্য জুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করতে চায় সরকার। তাঁর কথায়, “এ ধরনের নিয়ম চালু করার আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা সব থেকে বেশি জরুরি। না হলে নিয়ম চালু হলেও কোনও লাভ হবে না। নীতীশ কুমার সব সময়েই রাজ্যে সুস্থ রাজনীতির আবহ চালু করার পক্ষপাতী। সেই লক্ষ্যেই এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সচেতনতা প্রসারে কী কী করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে।” উল্লেখ্য, এর আগে নীতীশ কুমার রাজনীতিতে সুস্থ আবহ চালু করতে ‘গো গ্রিন’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। ওই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের বিধায়ক-মন্ত্রীরা যেমন গাছ পুঁতবেন তেমনই রাজ্যবাসীকে গাছ পুঁততে উৎসাহও দেবেন। জেডিইউয়ে যাঁরা নতুন দলের সদস্যপদ নেবেন, তাঁদেরও গাছ পুঁততে হবে বলে ঘোষণা করেছেন নীতীশ কুমার। দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে ভোট লড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কাজকর্মের উপরে বাড়তি নজরদারি চালানোর কথাও ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছে নীতীশ সরকার। তার আগে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ঠিক ভাবে করতে পারে, তার জন্য পটনায় বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার। ভীম বলেছেন, “খুব শীঘ্রই পটনায় একটি কর্মশালা শুরু হবে। সেখানে পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের ঠিক ভাবে কাজকর্ম করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।” |