|
|
|
|
সফর শুরু এডিবি’র |
৩ দিন উত্তরবঙ্গে ঘুরবেন তিন সদস্যের দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ভারতের সঙ্গে নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশের বহির্বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিকাঠামো তৈরি-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের আর্থসমাজিক বিকাশে সাহায্য করবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। উন্নয়নের বিভিন্ন সম্ভাবনার দিকগুলি খতিয়ে দেখতে রবিবার থেকে ৩ দিনের উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করলেন এডিবি-এর এক প্রতিনিধি দল। এ দিন ফুলবাড়ি এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন করে বাণিজ্যিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সোমবার চ্যাংরাবান্ধা, জয়গাঁ সীমান্ত পরিদর্শন করবেন। মঙ্গলবার তাঁরা যাবেন ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি-কাঁকড়ভিটা এলাকায়। এডিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নতির স্বার্থেই তাদের এই পরিকল্পনা। তাতে ওই সমস্ত দেশগুলির বিভিন্ন অঞ্চলের বিকাশ ঘটবে। এ ক্ষেত্রে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এই চারটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করছেন তাঁরা। সম্ভাবনার দিকগুলি খতিয়ে দেখে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। তাঁদের প্রস্তাব মতো সরকারি স্তরে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করবে এডিবি কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও যাতে উপকৃত হন তা বিবেচনা করা হবে। এ দিন ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বে ছিলেন এডিবি’র সার্ক দেশগুলির ডিরেক্টর শেখর বনু। দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এডিবি’র পরিবহণ বিভাগের প্রধান হিরোয়াকি ইয়ামাগুচি, উইডোয়াতি, বাংলাদেশ থেকে তসনিম মির্জা। শেখর বনু বলেন, “ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক কথাবার্তা এগিয়েছে। ভারত-নেপাল-বাংলাদেশ এবং ভারত-ভূটান-বাংলাদেশ বহির্বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধার দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বহির্বাণিজ্যের উন্নতি হলে এলাকার আর্থনৈতিক বিকাশে তা সহায়ক হবে। অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যান্য সম্ভাব্য দিকগুলিও দেখা হচ্ছে। রাস্তাঘাটের উন্নতি গুরুত্ব পাচ্ছে। শীঘ্রই সরকারি স্তরে আলোচনা করে একটি ‘পরামর্শদাতা দল’ পাঠানো হবে। এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশে, বাসিন্দাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে রিপোর্ট তৈরি করা সরকারকে জানানো হবে। সেই মতো আর্থিক সহায়তা করা হবে।” এজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, এ দিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। এক জেলা থেকে আরেক জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা, সীমান্ত বাণিজ্যের উন্নয়নের বিভিন্ন দিকগুলি প্রতিনিধিরা খতিয়ে দেখছেন। শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা ছিলেন। দেশের সঙ্গে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশে গত ৩ বছরের বাণিজ্যের দিকগুলি প্রতিনিধি দলকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। রুদ্রবাবু বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত বাণিজ্য ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় হিমঘর তৈরি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানোই লক্ষ্য। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ফিরে গিয়ে সরকারি স্তরে রিপোর্ট দেবেন। সেই মতো পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” এডিবিএ প্রতিনিধি দলটিকে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করানোর দায়িত্বে রয়েছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যেই গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে এডিবি কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। এ দিন এসডেজিএ’র তরফে বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তার দিকগুলি তুলে ধরা হয়। এডিবি-এ কর্তৃপক্ষও তাদের কাজের পদ্ধতি এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কী ভাবে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে তা ব্যাখ্যা করেন হিরোআকি ইয়ামাগুচি। বহির্বাণিজ্যে উন্নতির দিকগুলি তুলে ধরেন তসনিম মির্জা। |
|
|
|
|
|