নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
অবিলম্বে জাতীয় সড়কের বেহাল অংশ সংস্কার করতে হবে। এই দাবিতে শনিবার দুপুরে প্রায় তিন ঘণ্টা ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুর রায়পাড়ায় পানাগড়-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে বিডিও এবং জাতীয় সড়কের সহকারী বাস্তুকারের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
রায়পাড়ার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, প্রায় ৮ মাস ধরে ওই জাতীয় সড়ক মল্লারপুর হাসপাতাল মোড় থেকে বড়তলা পর্যন্ত বেহাল। এর ফলে প্রতিদিনই সমস্যায় পড়ছেন পথচলতি ও সাধারণ মানুষ। এলাকার বাসিন্দারা খানাখন্দে ভরা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে একাধিক বার আন্দোলন করেছেন। তবুও সড়কের হাল ফেরেনি। হাসপাতাল মোড় থেকে বড়তলা পর্যন্ত বেহাল অংশে বর্ষার পরে সম্প্রতি সামান্য সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তায় ফেলে রাখা পাথর ছিটকে ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ ছাড়া, রাস্তার কাজে ব্যবহৃত পাথরের ধুলোও উড়ছে। ধুলো ওড়া বন্ধ করতে পুজোর আগে রাস্তায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে তা বন্ধ। এর ফলে ধুলোর জন্য রাস্তার ধারে বসবাসকারী বাসিন্দারা বাড়ির জানালা-দরজা খুলে রাখতে পারছেন না।
তাই এলাকাবাসী বিশেষ করে মহিলারা শনিবার দুপুরে ১২টার পর থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও মনমোহন ভট্টাচার্য বলেন, “এলাকাবাসীর দাবি, জাতীয় সড়কের নির্বাহী বাস্তুকারকে এলাকায় গিয়ে বেহাল অবস্থা দেখতে হবে। নির্বাহী বাস্তুকার শনিবার অফিসের কাজে বাইরে থাকায় অবরোধস্থলে আসতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে আসেন সহকারী বাস্তুকার। তিনি স্থানীয় মানুষদের নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর বৈঠক করার আশ্বাস দিলেও এলাকাবাসী তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। তাঁদের দাবি ছিল, এই কথা বাস্তুকারকেই বলতে হবে। তখন ফোনে বাস্তুকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।” জাতীয় সড়কের ভারপ্রাপ্ত বাস্তুকার (মহম্মদবাজার থেকে মোড়গ্রাম) অনলজ্যোতি রায় বলেন, “জাতীয় সড়ক পুরোপুরি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প ব্যয় পাঠানো হয়েছে। আশা করি অনুমোদন মিললে সমস্যা মিটবে।” |