টুকরো খবর |
হাল ফিরবে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
দার্জিলিং জেলা হাসপাতালকে আধুনিক মানের করে তুলতে উদ্যোগী হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার তিনি দার্জিলিং হাসপাতালে গিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকের পর হাসপাতাল ঘুরেও দেখেন। মন্ত্রী জানান, দার্জিলিং হাসপাতালের আধুনিকীকরণে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক এবং নিরাপত্তারক্ষী বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। তিনি বলেন, “দার্জিলিংয়ের মানুষ যাতে সঠিক চিকিৎসা পান সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত পরিষেবা আরও উন্নত হবে।” হাসপাতাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। চিকিৎসক থেকে পরিকাঠামো সবেতেই অভাব রয়েছে। পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। সামান্য কারণেই বাসিন্দাদের শিলিগুড়িতে যেতে হয়। নতুন সরকার হাসপাতাল উন্নয়নে জোর দেয়। কয়েক দফায় মন্ত্রীরা হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, ৯০ লক্ষ টাকায় হাসপাতালে একটি ভবনের কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ হবে। তা তৈরি হলে শয্যাসংখ্যাও বাড়ানো হবে। আইসিইউ হবে সেখানে। ব্লাড ব্যাঙ্কের উন্নয়নের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে দেওয়া হবে ৭৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও নতুন চিকিৎসা যন্ত্রের জন্য দার্জিলিং পার্বত্য পরিষদ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতরও টাকা দেবে। বর্তমানে হাসপাতালে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। দার্জিলিং পার্বত্য পরিষদ থেকে আরও ৭ জন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হবে হাসপাতালে। এ ছাড়াও, গৌতমবাবু এ দিন দার্জিলিংয়ে জেলাশাসকের দফতরের পাশে মাইনরিটি অফিসের ভবন তৈরির কাজ উদ্বোধন করেন। ৭২ লক্ষ টাকায় এদিন থেকে সেখানে ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়। মন্ত্রী জানান, দার্জিলিংয়ে যাওয়ার চারটি রাস্তা রোহিনী, মিরিক, পাঙ্খাবাড়ি এবং ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে তিনি খোঁজখবর নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই চারটি রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। মন্ত্রী বলেন, “চারটি রাস্তাই খুব দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে। মিরিকের রাস্তার জন্য ইতিমধ্যে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।”
|
স্বাস্থ্যে বরাদ্দ ১.১১ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
জাতীয় গ্রামীন স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের বরাদ্দ ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকায় মালদহের চাঁচলের খরবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমানে ৩ শয্যার ওই হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে বাড়বে শয্যাও। পাশাপাশি বাড়বে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও। রবিবার দুপুরে খরবায় বরাদ্দ অর্থে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ওই ভবনের শিলান্যাস করেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। একই দিনে আরও দুটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। দুটি প্রকল্পের একটি হল গোপালপুর- দুর্গাপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। মাল্টি সেকটারাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পে ওই উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ১২.৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া আশাপুরে নতুন বাসস্ট্যান্ড-এরও শিলান্যাস করেন সাংসদ। পঞ্চায়েত সমিতির দেওয়া এক বিঘা জমিতে ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরি করবে স্থানীয় খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত। সাংসদ ছাড়াও এ দিনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
|
কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
মেদিনীপুরে হোমিওপ্যাথি কলেজে সেমিনার |
৬৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান চলছে মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে। ১৭তম প্রাক্তনী সম্মেলনের পাশাপাশি এই উপলক্ষে বিজ্ঞান প্রদশর্নী ও জাতীয় সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। চলবে আজ, সোমবার পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। ‘অর্গানন অফ মেডিসিন’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা এতে যোগ দেন। এছাড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।
|
আইএমএ-র নির্বাচন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দীর্ঘ দিন পর এই প্রথম আইএমএ-র (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। রবিবার রাজ্য কমিটি তৈরির জন্য জেলার প্রতিনিধিদের নির্বাচন হয়। তাতে ডানপন্থী চিকিৎসকদের প্যানেল জয়ী হয়েছে। জেলায় আইএমএ-র ১৬২ জন সদস্য আছেন। এর মধ্যে এ দিনের নির্বাচনে যোগ দিয়েছিলেন ১০৯ জন সদস্য। স্কুলের অনুষ্ঠান। রবিবার সকালে শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব দিবস উদ্যাপন এবং বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী-সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে বেলদা রামকৃষ্ণ শিশুশিক্ষা নিকেতনে। পূজার্চনা, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল।
|
স্বাস্থ্যমেলা অন্ডালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
|
অন্ডালের উখড়ায় আয়োজিত হল স্বাস্থ্যমেলা |
স্বাস্থ্যমেলা আয়োজিত হল উখড়ার বাজপেয়ি মোড়ে। ৩০টি স্টলে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা করেন। এছাড়া বিনামূল্যে বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। এ দিন শিবিরের সূচনা করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ফারজানা আলম প্রমুখ। আয়োজক সংস্থার পক্ষে রাজু মুখোপাধ্যায় জানান, গত চার বছর ধরে তাঁরা এই ধরনের মেলা আয়োজন করছেন।
|
প্রশিক্ষণ শিবির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সম্প্রতি দৃষ্টিহীন শিশুদের চিকিৎসায় অত্যাধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। চৈতন্যপুর রামপুরা বিবেকানন্দ মিশন নেত্র নিরাময় হাসপাতালের উদ্যোগে পাঁচদিনের ওই শিবিরে ২৮ জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৪২ জন দৃষ্টিহীন শিশুর অস্ত্রোপচারও করা হয়।
|
নয়া চিকিৎসা |
হার্ট ফেলিওর-এর চিকিৎসায় নয়া পদ্ধতিতে এক বৃদ্ধকে কার্যত নতুন জীবন দিল দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল। কার্ডিয়াক রিসিন্ক্রোনাইজেশন থেরাপি (সিআরটি) নামে ওই পদ্ধতিতে একটি যন্ত্রের সাহায্যে হৃদ্যন্ত্রের দু’টি চেম্বারেই ছন্দ ফেরানো হয় বলে চিকিৎসকদের দাবি। কার্ডিওথোরাসিক সার্জন সুশীলা মিত্র বলেন, “৬৫ বছরের ওই বৃ্দ্ধ দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। ওষুধে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সিআরটি-র মাধ্যমে তাঁকে অনেকটাই সুস্থ করা গিয়েছে। তবে সকলের সিআরটি করা যায় না। নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মিললে তা সম্ভব।”
|
ক্যানসার প্রতিরোধে |
প্রতি বছর এ দেশে প্রায় আট লক্ষ মানুষ ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। এ রাজ্যে প্রতি বছর নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। তবু সামাজিক ভাবে, এমনকী সরকারি তরফেও এর প্রতিরোধে তেমন উদ্যোগ নেই। এই উদাসীনতাই রোগীদের আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রবিবার, এক বেসরকারি সংস্থা আয়োজিত আলোচনাসভায় উঠে এল এই আক্ষেপই। ‘সমাজ ও সরকার কি ক্যানসারের বিষয়ে উদাসীন?’ প্রসঙ্গে ওই আলোচনায় অংশ নেন চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়, সঞ্জয় দে বক্সী, গৌতম মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ সরকার প্রমুখ।
|
প্রতিবন্ধীদের জন্য |
রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধায় কী পরিবর্তন আসছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত ভাবে সেই প্রশ্ন পাঠাল প্রতিবন্ধী কল্যাণে তৈরি একটি ট্রাস্ট। শনিবার ছিল বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস। শুক্রবার ধর্মতলায় এক সমাবেশের পরে ওই দাবিপত্র পাঠান তাঁরা। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক মৌলিমাধব ঘটক বলেন, “এই মুহূর্তে রাজ্যে প্রতিবন্ধী প্রায় ৩০ লক্ষ। অনেকেই চিকিৎসায় মূল স্রোতে ফিরতে পারেন। এ জন্য রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য আধুনিক পুনর্বাসন চিকিৎসা কেন্দ্র খুব জরুরি। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে সেই অনুরোধ জানিয়েছি।” সমাবেশে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিবন্ধীরা ছিলেন। প্রধান অতিথি, সমবায় মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফির মাধ্যমে দাবিপত্রটি পাঠানো হয়।
|
স্কুলের উদ্যোগ |
এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করেছিল তাঁতিগেড়িয়া জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুক্রবারের ওই শিবিরে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: অপূর্ব সাতঁরা ১৪৫ জনের চক্ষু পরীক্ষা করেন। প্রধান শিক্ষক শচিনকুমার ঘোষ জানান, ১০ জনের ছানি অপারেশনেও সাহায্য করবেন তাঁরা। |
|