আনন্দবাজার পত্রিকা

খেলার টুকরো খবর

বনগাঁ মহকুমা প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া

নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে রবিবার আয়োজিত হল বনগাঁ মহকুমা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বার্ষিক ক্রীড়া। স্থানীয় ট্যাংরা কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বেবি তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মিনা ঘোষ প্রমুখ।

প্রতিযোগিতার সহযোগিতায় ছিলেন বনগাঁ-২ চক্রের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মহকুমার আটটি চক্র থেকে ২২০ জন ক্রীড়াবিদ যোগ দিয়েছিলেন। মোট ২৮টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিটি ইভেন্টের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে।
এ দিন বালক ‘গ’ বিভাগে ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয় বাগদা চক্রের নাটবেড়িয়া এফপি স্কুলের মহীতোষ সর্দার। ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয় বনগাঁ-২ চক্রের দীনবন্ধু মিত্র স্মৃতি এফপি স্কুলের মিহির সরকার। হাইজাম্পে প্রথম স্থান পেয়েছে গাইঘাটা চক্রের বাগনা এফপি স্কুলের সুজিত মুণ্ডা। বালকদের ‘খ’ বিভাগে ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয় গোপালনগর চক্রের হরিপদ এফপি স্কুলের নুরউদ্দিন মণ্ডল। বালিকাদের ‘গ’ বিভাগে ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে গোপালনগর চক্রের কানসোনা খোট্টাপাড়া এফপি স্কুলের মৌসুমী খাতুন। হাইজাম্পে প্রথম হয় বাগদা পূর্ব চক্রের সুন্দরা জুনিয়ার বেসিক স্কুলের প্রতিজ্ঞা মুণ্ডা।

বালকদেক ‘ক’ বিভাগে লঙজাম্পে বনগাঁ ২ চক্রের পাটশিমুলিয়া এফপি স্কুলের নরেশ মাঝি প্রথম স্থান পেয়েছে। ৭৫ মিটার দৌড়ে নহাটা চক্রের নিমতলা এফপি স্কুলের অমিত দাস প্রথম হয়। বালিকাদের ‘খ’ বিভাগে ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছে গাইঘাটা পূর্ব চক্রের সুটিয়া পূর্ব বারাসত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহুয়া মণ্ডল। বালিকা ‘ক’ বিভাগে লঙজাম্পে নহাটা চক্রের পূর্ব সাতাশি এফপি স্কুলের সুস্মিতা সরকার প্রথম হয়। আলুদৌড়ে বাগদা পূর্ব চক্রের বাগদা কেজেডিএস এফপি স্কুলরে প্রিয়া সেন প্রথম স্থান পেয়েছে। ১২ ডিসেম্বর বারাসাত স্টেডিয়ামে জেলা প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে এ দিন ‘এখন অক্ষরবৃত্তি’ নামে একটি সাহিত্যপত্র প্রকাশিত হয়।

ছবি: পার্থসারথি নন্দী।

ভাঙড়ে নক আউট ফুটবল

নিজস্ব সংবাদদাতা • ভাঙড়

এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুলিশ ও সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে ভাঙড় থানা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত নক-আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল প্রাণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত দল। শনিবার ভাঙড় হাইস্কুল মাঠে ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় চন্দনেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত দলকে। গোলটি করেন মণিরুল গাইন। তিনিই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দু’টি দলকেই ট্রফি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন বিডিও পারমিতা রায়। --নিজস্ব চিত্র।

ভাঙড় থানার ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে ৮টি দল গড়ে কয়েক মাস ধরে প্রতিযোগিতা চলে। ফাইনাল দেখতে উপস্থিত ছিলেন বিডিও পারমিতা রায়, সিআই দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, ওসি জয়প্রকাশ পাণ্ডে প্রমুখ। খেলা শুরুর আগে এনসিসি-র ছেলেমেয়েরা প্যারেড করে। সাদা পায়রা ওড়ানো হয়। পাশাপাশি, এ দিন ভাঙড় থানার পক্ষ থেকে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের জন্য ২৫০টি কম্বল বিতরণ করা হয়।

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.