|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
‘ফড়ে’রা বেকার হলে সমস্যা বাড়বে |
সবজির দাম আগুন শুধুই বন্যার জন্য’ (২৫-১০) লেখাটি পড়লাম। কিছু বক্তব্য, কিছু প্রতিবাদ রাখতে চাই।
লেখকের মতে শাকসবজির ব্যবসা করার জন্য সরকারের এখনই মাঠে নেমে পড়া উচিত। এই উপদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। কোনও কালে কোনও দেশে সরকারের ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা ভাল নয়। সরকারের ব্যবসা মানেই ঢালাও লোকসান, অন্য ভাবে বলতে গেলে সরকারের ব্যবসা মানে দুর্নীতি এবং অকর্মণ্যতাকে প্রশ্রয় দান। দেখছেন না, দেশের সব প্রদেশে সরকারি বাস চালাতে প্রাদেশিক সরকার কেমন গুণাগার দিচ্ছে।
‘ফড়ে’ নামটাই প্রতিবাদযোগ্য। কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে যাঁরা বাজারে বিক্রি করেন, তাঁরাই এখানে ফড়ে। কিন্তু এও তো একটা ব্যবসা। এই লোকগুলো না থাকলে চাষিদের উৎপাদিত শস্য বাজারে কে নিয়ে আসত! মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, চাষিই তার উৎপাদিত শস্য বাজারে নিয়ে আসুক। বর্তমান দিনের নিয়ম হচ্ছে, একটা মানুষ একটাই কাজ করে। এবং সেই কাজটাতে দক্ষতার চরমসীমায় পৌঁছায়। এতেই সমাজের মঙ্গল। দেশে এত বেকার। ফড়েদের বেকার করলে তো বেকার সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। |
|
আচ্ছা, শাকসবজির মজুতদারি সম্ভব! বেগুন, পটল, মুলো, ঝিঙে--- এগুলো তো দু’দিনেই হয় শুকিয়ে যাবে, নয় পচে যাবে। সুতরাং শাকসবজির মজুতদারি এই মুহূর্তে এ দেশে সম্ভব নয়। মজুতদারি করতে গেলে অনেক হিমঘর দরকার। আর হিমঘরে শাকসবজি মজুত রাখতে যে-পরিমাণ হিমঘরের ভাড়া দিতে হবে, তা কি ফড়েরা তথা ক্রেতারা দিতে সক্ষম হবে?
আর একটা কথা, অসময়ের জিনিস একদম খাবেন না। উদাহরণ দিয়ে বলি, শীতকালে এঁচোড় খাবেন না আর গ্রীষ্মকালে ফুলকপি খাবেন না। এটাই চিকিৎসকদের আধুনিক বিধান। অর্থাৎ খাদ্যাখাদ্যের মাঝখানে হিমঘর আনা সঠিক পদ্ধতি নয়। এতে খাদ্যগ্রহণকারীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। |
সঞ্জয় চৌধুরী। ইন্দা, খড়্গপুর
|
ট্রমা ইউনিট |
আনন্দবাজার পত্রিকাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ও হাসপাতালের ‘ট্রমা ইউনিট নামে মাত্র চালু হয়ে মুখ থুবড়ে’ (২০-৮) এই মন্তব্যটির প্রতিবাদ জানাই। এই সেন্টারটি ৪ শয্যা বিশিষ্ট। গত মার্চ ২০১১ থেকে রোগী পরিষেবা দিয়ে আসছে। শুধু মার্চ মাসেই ১৩ জন রোগী এই ট্রমা ইউনিটে ভর্তি হন। এবং এখনও পর্যন্ত ৭৬ জন রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। (পরিংসখ্যানটি এ রূপ: মার্চ ১৩, এপ্রিল ১১, মে ১১, জুন ১৪, জুলাই ১৩, অগস্ট ১৪)। এ ছাড়া উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ১) ড. অমিত মিত্র (মাননীয় অর্থমন্ত্রী)-র অনুরোধে তনুুজা বিবি নামে এক মহিলা গত ২৪ মার্চ ভর্তি হন এবং চিকিৎসা পান। ২) গত জুলাই মাসে মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক জন রোগীকে এস এস কে এম হাসপাতাল থেকে আর জি কর হাসপাতালে রেফার করা হয় ও তিনি চিকিৎসা পান। নাম শীতল সরকার। এ রকম বহু উদাহরণ আছে। |
ডা. পার্থজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এম এস ভি পি, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
|
আর জি কর হাসপাতালের সুপার যে পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, তার পাল্টা একটা লম্বা তালিকা এই প্রতিবেদকের কাছে আছে। সেই তালিকা থেকে স্পষ্ট হয়, গত মার্চ থেকে এ যাবৎ কত রোগী ওই ট্রমা ইউনিটে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটা বড় অংশই এ বিষয়ে যথেষ্ট হতাশ। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তের উদ্যোগে আর জি করে ওই ট্রমা ইউনিট চালুর ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছিলেন যে অস্থি চিকিৎসক, তিনি নিজেও যে এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ, সেই উল্লেখও ওই প্রতিবেদনে রয়েছে। সমস্ত দিক যাচাই করেই প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছিল।
|
আক্ষেপ কীসের? |
|
ইডেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ক্রিকেট টেস্টের প্রথম দিনের (১৫/১১) ফাঁকা গ্যালারির ছবি দেখে অনেকেই বেদনা প্রকাশ করেছেন। দুই অধিনায়ক যখন মাঠে টস করছেন, তখন ইডেনের দর্শক বলতে গোনাগুনতি ৮২ জন মাত্র। ইডেনের এই দৃশ্যে সমাগত সাংবাদিক টেস্ট ক্রিকেটের অবিচুয়ারি লেখার সময় এই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পরিচিত মহলে অনেকেই ফাঁকা ইডেন দর্শনে দুঃখপ্রকাশ করেন। খাঁ-খাঁ ইডেনের চিত্র দেখে বড়ই আনন্দিত হলাম। বুঝি এত দিনে আমাদের ছেলেরা যথার্থই দায়িত্ববান সাবালক হয়েছেন। তাঁরা অকারণে সারা দিন নিছকই বসে বসে সজীব শ্রমশক্তি ধ্বংস করতে আর ইচ্ছুক ন’ন। খাঁ-খাঁ জনশূন্য ইডেনের চিত্র বুঝি বার্তাবাহক। এটি আমাদের চিত্তে আশাব্যঞ্জক। ৬৭ হাজার বাঙালি তরুণ এই বিলাসী ধ্বংসাত্মক ক্রীড়ায় বিমুখ হয়েছেন, তার জন্য তারা ধন্যবাদার্হ। বলি, ক্রীড়া-আনন্দ উপভোগ করতে ফুটবল ময়দানে যান এবং কাজের শেষ বেলায় দেড় ঘণ্টা ধরে দেহে-মনে তীব্রগতির অপার আনন্দ উপভোগ করুন। |
নজরুল হক। অ্যাডভোকেট, কৃষ্ণনগর জজ কোর্ট, নদিয়া |
|
|
|
|
|