|
|
|
|
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা ভাবও দায়ী ডাকাতিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ঢিলেঢালা মনোভাবের জেরেই দুষ্কৃতীরা টাকা লুঠের সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। সোমবার জলপাইগুড়ির সর্দারপাড়ায় ব্যাঙ্কের গাড়ি থেকে ২০ লক্ষ টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। সে সময় নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াই গাড়িটি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ির সদর অফিস থেকে হলদিবাড়ি শাখা কার্যালয়ে যাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে ট্রাঙ্কে করে জলপাইগুড়ি থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শনিবার সেটি ব্যাঙ্ক সংলগ্ন একটি সাইকেল সারাইয়ের দোকানে রেখে দেওয়া হয়। সোমবার সকালে সেখান থেকেই ট্রাঙ্ক নিয়ে টাকা আনতে ব্যাঙ্কের হলদিবাড়ির শাখার ২ কর্মী জলপাইগুড়িতে যান। সকাল সকাল টাকা আনতে যাওয়ার অজুহাতে প্রতিবারই ওই সাইকেল সারাইয়ের দোকানে একদিন আগে ট্রাঙ্ক রেখে দেওয়া হত। এদিন হলদিবাড়ি থানার আইসি গৌতম ঘোষাল জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় গিয়ে ব্যাঙ্কের কর্মী চন্দ্রমোহন রায় এবং গাড়ির চালক সফিকুল ইসলামকে জেরা করেন। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি নিরঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।” সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের হলদিবাড়ি শাখার ম্যানেজার সুবীর চক্রবর্তী বলেন, “নিয়ম অনুসারে ব্যাঙ্ক খুলে গোপনীয়তা রক্ষা করে টাকা আনতে যাওয়ার কথা। এমন ভাবে টাকা আনতে যাওয়ার কথা আমার জানা ছিল না।” পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ওই শাখায় কোনও সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী নেই। একটি বন্দুক অবশ্য রয়েছে ব্যাঙ্কে। একজন রক্ষী থাকলেও তার বন্দুক রাখার অধিকার নবিকরণ হয়নি। ব্যাঙ্কের কোচবিহার জেলার আধিকারিক জওহরলাল পুরকায়েত বলেন, “রক্ষীর বন্দুক রাখার লাইসেন্স নবিকরণের জন্য জেলাশাসককে আবেদন করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|