|
|
|
|
নতুন মুখের উপরে জোর সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই চাঁচলে কংগ্রেসের দুর্নীতির কথা সাধারণ মানুষের কাছে তারা তুলে ধরতে পারছে না বলে মনে করছে সিপিএমের জোনাল কমিটি। সোমবার চাঁচলের মালতিপুর ব্লক কমিউনিটি হলে চাঁচল জোনাল কমিটির সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। দলীয় সূত্রের খবর, সেখানে সংগঠনের দুর্বলতা কাটিয়ে চাঙ্গা করতে কমিটিতে নতুন মুখ আড়ার উপরে জোর জেওয়া হয়। আলোচনার পরে টানা তিন বারের জোনাল সম্পাদক নিমাই সাহা-সহ একাধিক প্রবীণকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। নয়া জোনাল সম্পাদক হয়েছেন হামেদুর রহমান।
চাঁচল জোনাল কমিটিতে টানা ১২ বছর সম্পাদক ছিলেন নিমাইবাবু। তার আগে যখন জোনাল কমিটি ছিল না তখন লোকাল কমিটিতেও ৩ বারের সম্পাদক ছিলেন। নিমাইবাবু ছাড়া এবার জোনাল কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতি গোপা মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক রথীন মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক নজমূল হক, পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণ লাহিড়ি, সইদুল হক, নুরুল ইসলাম-সহ পোড়খাওয়া বেশ কিছু নেতা। নতুন সম্পাদক হামেদুর রহমান অবশ্য বলেন, “চাপে পড়ে কাউকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। শিক্ষকতা করায় নিমাইবাবুকে সরতে হয়েছে। তিনি জোনাল কমিটিতে রয়েছেন। অন্য সদস্যদের বয়সজনিত কারণে সরতে হয়েছে। সংগঠনকে চাঁচলে শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য।”
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জোনাল সম্মেলনে হাজির ছিলেন জেলার একাধিক নেতা। হাজির ছিলেন ১০৪ জন প্রতিনিধি। সেখানেই শিক্ষকতায় থাকলে জোনাল সম্পাদক পদে থাকা যাবে না, এই যুক্তি দেখিয়ে নিমাইবাবুকে সরে যেতে বলা হয়। বিদায়ী সম্পাদক বলেন, “আমাকে নেতৃত্ব চাকরি ছাড়তে বলেছিলেন। সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তা দলকে জানিয়েছিলাম। যা হয়েছে সেটা খুশি মনেই মেনে নিয়েছি।” |
|
|
|
|
|