|
|
|
|
বন্দিমুক্তি নিয়ে দায়িত্ব পেলেন গৌতম দাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বন্দি মুক্তি কমিটির মাধ্যমে আর্জি জানানোর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হল বার কাউন্সিল সদস্য তথা জলপাইগুড়ির আইনজীবী গৌতম দাসকে। মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গৌতমবাবুকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি গৌতমবাবুকে তৃণমুল কংগ্রেসের আইনি সেলের সাধারণ সম্পাদক পদে এবং প্রদেশ তৃণমুল কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সদস্য পদেও নিয়োগ করা হয়েছে। একই বিবৃতিতে এই দুটি নিয়োগের কথাও জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই গৌতমবাবু কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য বার কাউন্সিলের দ্বিতীয়বারের সদস্য গৌতমবাবু তিন জন কাউন্সিল সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূল একক ভাবেই রাজ্য বার কাউন্সিল গঠন করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গৌতমবাবুরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ২৪ জন সদস্যের রাজ্য বার কাউন্সিলে তৃণমূল সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। সেক্ষেত্রে তৃণমূল একক ভাবেই কাউন্সিল গঠন করতে পারলেও কংগ্রেসকে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিয়ে কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের উত্তররের জন্য তৃণমূল আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বলেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রকাশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। রাজ্য খাদ্য দফতরের উচ্চশক্তি সম্পন্ন কমিটির সদস্য হিসেবেও গৌতমবাবুকে নিয়োগ করেছে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি পদে এদিন নিয়োগ করা হয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “দলের তরফে আমায় যে দায়িত্বগুলি দেওয়া হয়েছে তা পালন করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাব। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি নিয়ে রাজ্যের কাছে আর্জি জানানোর যে দায়িত্ব আমায় দেওয়া হয়েছে তাও আইনিভাবে পালন করব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে বিগত সরকার যাদের বন্দি করে রেখেছে তাদের হয়ে লড়ব। তাদের পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করলে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|